হুন্ডিতে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা : বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান খাত প্রবাস আয় (রেমিট্যান্স)। তবে সরকারের নানা উদ্যোগের পরও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বাড়ছে না রেমিট্যান্স। এ অবস্থায় রেমিট্যান্স বাড়াতে হুন্ডি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাশে ব্যাংক বলেছে, অবৈধ পথে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) পাঠানোর প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেবে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ
গতকাল বুধবার বাংলাদশে ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র সাঈদা খানম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সর্তক বার্তা জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে প্রমাণ সাপেক্ষে প্রচলিত আইনে বিএফআইইউ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। প্রবাসীদের উদ্দেশে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে (হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে) প্রেরণ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এবং এতে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তাই মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথ বাদ দিয়ে বৈধপথে দেশে পাঠান। দেশ গড়ায় মূল্যবান অবদান রাখুন এবং আপনার প্রিয়জনকে ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ রাখুন।
বর্তমানে বৈধপথে প্রবাস আয়ে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এ ছাড়া রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা দিচ্ছে সরকার। রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজীকরণের পাশাপাশি অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণ অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ত পারেন:
হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন : ২৩০ এমএফএস অ্যাকাউন্ট জব্দ
হুন্ডি শুষে নিচ্ছে রেমিট্যান্স, ‘চার্জ’ বাতিলের পরও বাড়ছে না প্রবাহ
বিমানভাড়ার সীমা না থাকায় চলে যাচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা : অ্যাটাব
এ ছাড়া ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি রেমিট্যান্স প্রেরণে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়েছে।
এছাড়া শ্রমিকদের সুবিধা বিবেচনায় দেশের বাইরে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যাংকগুলো নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউস খোলা রাখতে পারবে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের চতুর্থ মাস অক্টোবরে ১৫২ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশে ১৪৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। চলতি অর্থবছরের টানা দুই মাস দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স বৈধপথে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
আরও পড়ত পারেন:
ওমান : হুন্ডি কারবারিদের ধরলেই বাড়বে রেমিট্যান্স
রেমিট্যান্স : অক্টোবরে কমেছে ৭.৪ শতাংশ
রেমিট্যান্স : ৭ মাসের মধ্যে সেপ্টেম্বরে সর্বনিম্ন
রেমিট্যান্সে বড় পতন আমিরাতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য
বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রতিশ্রুতি ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশিদের