হঠাৎ ধ্বসে পড়ল বিমানবন্দরের একাংশ, নিহত এক
হঠাৎ ধ্বসে পড়ল ভারতের উড়িষ্যার ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরের টার্মিনালের সংযোগকারী নির্মাণাধীন ভবন। দুর্ঘটনায় একজন মারা গেছেন। গুরুতর আহত একজনের চিকিৎসা চলছে স্থানীয় হাসপাতালে।
গতকাল শুক্রবার ২৪ (জানুয়ারি) রাত ১১টা নাগাদ বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ ও ২ নম্বর টার্মিনালের সংযোগকারী নির্মাণাধীন ভবন ভেঙে পড়ে। এটি নিচে কাজ করা শ্রমিকদের উপর ধসে পড়ে।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল বাহিনী। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ।
ততক্ষণে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে এক নির্মাণকর্মী প্রাণ হারায়। অন্তর্যামী গুরু নামে ওই ব্যক্তি নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনায় আরেকজন শ্রমিক গুরুতর জখম হয়েছেন। তিনি ভুবনেশ্বরের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খবর পেয়ে গভীর রাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বুড়িশার পাবলিক এন্টারপ্রাইজ মন্ত্রী অশোক পান্ডা, শেষ ত্রাণ কমিশনার প্রদীপ কুমার জেনা, এবং ভুবনেশ্বর (কেন্দ্রীয়) বিধায়ক অনন্ত নারায়ণ জেনা । বিষয়টি খতিয়ে দেখে এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন তারা।
জানা গেছে ২৫ জন শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন। আপাতত ওই এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে কাউকে দুর্ঘটনার জায়গায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বিমান চলাচল সামান্য ব্যাহত হয়েছে।
#BPIARoofCavesIn: SRC and OSDMA chief #Odisha Pradeep Jena says no other injuries or casualty. Personnel jumped into work and rescued the two trapped. pic.twitter.com/CBxV58d9Kf
— Kasturi Ray (@raykasturi) January 24, 2020
বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর , ভারতের ওড়িশা রাজ্যের রাজধানী শহর ভুবনেশ্বরে অবস্থিত। এটি ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর নামেও পরিচিত। এটি ওড়িশা রাজ্যের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজু পট্টনায়েকের নামে নামকরণ করা হয়, যিনি একজন বিখ্যাত বিমানচালক ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বীকৃতি অর্জন করে। বিমানবন্দরের টার্মিনাল ১ আভ্যন্তরীণ এবং টার্মিনাল ২ আন্তর্জাতিক উড়ান পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।
সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (এএআই) দ্বারা ভারতের ব্যস্ত বিমানবন্দরগুলির মধ্যে ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে ১৩ তম ব্যস্ত বিমানবন্দরের স্থান পেয়েছে যা আগের বছরের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা ২৩.১% বৃদ্ধি পেয়েছে। বিমানবন্দরটি ৮৩৬ একর এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে।