হজ নিবন্ধন বিলম্ব করা যাবে না, যাওয়া না হলে টাকা ফেরত

করোনা-আতঙ্কে

“করোনাভাইরাস আতঙ্কে হজের নিবন্ধন বিলম্ব করা যাবে না। আতঙ্কের কথা মাথায় রেখে হজের নিবন্ধনে বিলম্ব করলে তার হজ যাত্রায় সমস্যা হতে পারে,” বলেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

রোববার (৮ মার্চ) দুপুরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশের হজ যাত্রীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, “করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৌদি আরব ওমরাহ ভিসা ইস্যুকরণ সাময়িক বন্ধ রেখেছে। সৌদি সরকারের এই সময়োপযোগী উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা আশা করছি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র হজের পূর্বেই বিশ্ববাসীকে এই বিপদ থেকে রক্ষা করবেন।”

Travelion – Mobile

তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা যেকোনও সময় উঠে যেতে পারে। তবে অনিশ্চয়তার কথা চিন্তা করে কেউ যদি হজের নিবন্ধন করতে বিলম্ব করেন তাহলে তার হজ যাত্রায় সমস্যা হতে পারে। আগে থেকেই যদি একজন হজ যাত্রী প্রস্তুতি গ্রহণ না করেন তাহলে তিনি এ বছর হজে যেতে পারবেন না। তাই হজ পালনে নির্ভয়ে হাজিদের নিবন্ধন ও প্রয়োজনীয় টাকা-পয়সা ব্যাংকে জমা করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩০ জুলাই এ বছর হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২৩ জুন থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। এ বছর যারা হজ পালনে ইচ্ছুক তারা আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।’

“টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধনের পরই সৌদি আরবে মোয়াল্লিম নির্ধারণ, মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া করা, আনুষঙ্গিক ব্যয় মেটানোর জন্য সৌদি আরবে অর্থ প্রেরণের কাজ সম্পন্ন করতে হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ কাজগুলো সম্পন্ন করতে না পারলে হজে গমন সম্ভব নয়”, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।

হজ গমনে ইচ্ছুকদের উদ্বিগ্ন বা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, নির্ধারিত সময় ১৫ মার্চের মধ্যেই যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করুন। আপনাদের শঙ্কা দূর করতে সৌদির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছি। তারা সারাবিশ্বের সকল হাজীদের জন্য একই চিন্তা করছে। সকলে যেন হজে যেতে পারেন। কোনো টাকা যেন মার না যায় তাতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আপনাদের টাকা নষ্ট হবে না।

শেখ মো. আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছি, খোদা না করুক করোনার কারণে কেউ যদি হজে যেতে না পারেন, সমস্ত টাকা তার হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমি নিলাম। হাজিরা চাইলে টাকা ফেরত না নিয়ে যদি পরের বছর হজে যেতে চান সে ব্যবস্থাও করা হবে। তাছাড়া তিনি যখন চাইবেন সেভাবেই টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। যদি কোনও এজেন্সি হাজিদের টাকা দেওয়ার ব্যাপারে গাফিলতি করে তাহলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে সেই এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, ‘হাবের পক্ষ থেকেও দায়িত্ব নিয়ে বলছি, কোনও কারণে কোনও হাজি যদি হজে যেতে না পারেন তাহলে ধর্ম মন্ত্রণালয় যে উদ্যোগ নিয়েছে আমরাও সেভাবেই কাজ করবো।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!