স্পেনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন

স্পেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। কর্মসূচিতে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন।

রবিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানী মাদ্রিদে দূতাবাস ভবন আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর ও চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এটিএম আব্দুর রউফ মন্ডল।

পরে দূতাবাসের সভাকক্ষে প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) তাহসিনা আফরিন শারমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দিবসের আলোচনা সভার শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের এবং বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সকল সদস্যের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।

Travelion – Mobile

৭ মার্চ উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর রেদোয়ান আহমেদ এবং প্রথম সচিব (শ্রম) মুতাসিমুল ইসলাম।

দূতাবাসের কাউন্সেলর ও চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জনাব এটিএম আব্দুর রউফ মন্ডল তাঁর বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে উল্লেখ করেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বাঙ্গালী জাতির মুক্তি সংগ্রামের ডাক, যা সমগ্র বাঙ্গালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল।

দূতাবাসের বিদায়ী চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হারুন আল রশিদ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের উপর আলোচনায় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি অদ্যবধি পৃথিবীর ইতিহাসে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজিৈনতক বক্তৃতা, তাতে কোনো সন্দেহ নাই।

তিনি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারিদের নাম ও স্মৃতি পৃথিবী থেকে মুছে গেছে, কিন্তু বঙ্গবন্ধু শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে উপস্থিত না থেকেও তিনি আজ আমাদের কাছে অনেক বেশি জীবন্ত।

আরও পড়তে পারেন :
কূটনীতিতে নারীর জ্যোতি
দিবসই প্রমাণ করে নারী এখনো সমতায় পৌঁছেনি
‘আমার কাছে প্রতিদিনই নারী দিবস’
করোনাকালের একজন মানবিক রাষ্ট্রদূতের গল্প

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!