সৌদি আরবে সিনেমার ব্যবসা রমরমা, বাড়ছে হল-দর্শক

বিশ্ব

রক্ষণশীল মুসলিম দেশ সৌদি আরবে আর্থসামাজিক সংস্কারের অংশ হিসেবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় ২০১৮ সালে।

দেশটিতে রুপালি পর্দা ওঠার প্রথম বছরে চলচ্চিত্রের দর্শকেরা ব্যয় করেছিলেন ২০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ। সেখানে ২০২১ সালে তাঁরা খরচ করেছেন ৫ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। সে হিসেবে চার বছরের মাথায় সৌদি আরবে চলচ্চিত্রের টিকিট বিক্রি বেড়েছে ২ হাজার ৬০৫ শতাংশ।

২০২১ সালে সৌদি আরবের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দুবাইভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল আরাবিয়া।

Travelion – Mobile

২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবে সর্বসাধারণের জন্য সিনেমা প্রদর্শনীর অনুমতি দেওয়া হয়। রাজধানী রিয়াদের ‘এএমসি’ সিনেমা হলে প্রদর্শন করা হয় মার্ভেল স্টুডিওর সিনেমা ‘ব্ল্যাক প্যানথার’।

সৌদি আরবের সিনেমা হলে দর্শক ।
সৌদি আরবের সিনেমা হলে দর্শক ।

আগের বছর ২০১৭ সালে অর্থসামাজিক সংস্কারের লক্ষ্যে ‘ভিশন-২০৩০’ পরিকল্পনা হাতে নেয় সৌদি সরকার। এই পরিকল্পনার আওতায় দেশটির শিল্পে প্রবৃদ্ধি স্থানীয়ভাবে বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সেগুলোরই একটি সিনেমার প্রদর্শনীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া।

আরও পড়তে পারেন : সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভাইসহ ৩ বাংলাদেশি যুবক নিহত

বর্তমানে সৌদি আরবজুড়ে সিনেমা হলের সংখ্যা বাড়ছে। ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে নির্মাণ হয়েছে ১১টি নতুন সিনেমা হল। সৌদি আরবের সংস্কৃত মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটিতে এখন সিনেমা হলের সংখ্যা ৫৪টি।

সৌদি আরবে সিনেমা প্রদর্শনীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চার বছর পূর্তির সময় দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি ৩ কোটি টিকিট বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিল।

পাশাপাশি সিনেমাশিল্প দেশটির ৪ হাজার ৪০০ তরুণের চাকরির সুযোগ তৈরি করেছে জানানো হয় তাদের প্রতিবেদনে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!