সুপারসনিকে নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন সাড়ে ৩ ঘণ্টায়!

আবার সুপারসনিক উড়োজাহাজ

আকাশপথে আবার বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে। নিজেদের বহরে উচ্চগতির সুপারসনিক প্লেন যোগ করছে মার্কিন প্লেন সংস্থা ইউনাইটেড। ইতোমধ্যে ১৫টি নতুন যাত্রীবাহী সুপারসনিক প্লেন কেনার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা দিয়েছে এয়ারলাইন্সটি। এক্ষেত্রে যাত্রাপথে অর্ধেকের চেয়ে বেশি সময় কমে আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৯ সালের মধ্যে অ্যাভিয়েশখাতে এ বিপ্লব ঘটবে। মার্কিন প্লেন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বুম সুপারসনিক থেকে প্লেনগুলো কেনা হবে। ২০২৯ সালেই সুপারসনিক প্লেনে যাত্রী পরিবহনের আশা করছে সংস্থা দুটি। সেক্ষেত্রে নিউইয়র্ক থেকে লন্ডনে যেতে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা আর সান ফ্রান্সিসকো থেকে টোকিও যেতে লাগবে মাত্র ছয় ঘণ্টা। অর্থাৎ অর্ধেকের চেয়ে বেশি কমে আসতে পারে সময়। খবর বিবিসি ও এএফপির

১৯৭০ এর দশকে প্রথম ফ্রান্স থেকে উড্ডয়ন করা হয়েছিল বাণিজ্যিক সুপারসনিক উড়োজাহাজ কনকর্ড, যার গতি ছিল শব্দের চেয়ে দুই গুণ বেশি। এয়ার ফ্রান্স ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এসব প্লেনের ফ্লাইট পরিচালনা করত। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যয়ভার ও পরিবেশগত বিধিনিষেধের কারণে ২০০৩ সালে প্লেনগুলো গ্রাউন্ডেড করা হয়।

Travelion – Mobile

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০০ সালে এয়ার ফ্রান্সের একটি যাত্রীবাহী কনকর্ড দুর্ঘটনায় ১১৩ জন নিহত হয়েছিলেন। তখন কনকর্ডের আসন সংখ্যা ছিল ১০০ থেকে ১৪৪টি। শুধু সম্পদশালীদেরই এই প্লেন ভ্রমণ করার সক্ষমতা ছিল।

ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স ও বুম সুপারসনিক গত বৃহস্পতিবার একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, সুপারসনিক প্লেনের ক্ষেত্রে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের কিছু শর্ত আছে। নিরাপত্তা, চলাচল ও টেকসইয়ের শর্তগুলো পূরণ করতে পারলেই একটি বাণিজ্যিক চুক্তির মাধ্যমে প্লেনগুলো কিনবে ইউনাইটেড। ওভারচার নামে আকাশে উড়বে কনকর্ডের মতো উচ্চগতির সুপারসনিক প্লেনগুলো।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!