সুইডেনে বাংলাদেশ দূতাবাসে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন

’শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’ প্রতিপাদ্যের আলোকে সুইডেনে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় শেখ রাসেল দিবস ২০২১ উদযাপিত হয়েছে।

এই উপলক্ষে রাজধানী স্টকহোমে নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন ও ছড়া/কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন ও প্রতিযোগীদের মধ্যে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ, শেখ রাসেলের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং তার জীবনের উপর আলোকপাত করে আলোচনা অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।

দিবসটি সাপ্তাহিক কর্মদিবস হওয়ায় অফিস শেষে বিকেলে এ সকল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । অনুষ্ঠানের প্রথমভাগে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় । অনুর্ধ্ব ১২ বছর বয়সী শিশু এবং ১২+-১৮ বছর বয়সী শিশু-কিশোর দুটি বিভাগে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ।

Travelion – Mobile

পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠের মধ্য অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ভাগ শুরু হয়। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর শেখ রাসেলের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রসমূহ প্রদর্শন করা হয় ।

শেখ রাসেলের জীবনীর উপর মুক্ত আলোচনা বাংলাদেশি কমিউনিটি সংগঠকরা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে শিশু রাসেলের শাহাদত জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

তারা আরও বলেন, সেদিনের শিশু শেখ রাসেল যে আদর্শ চেতনায় বড় হচ্ছিল সে তা উন্নত চারিত্রিক গুণাবলির মধ্য দিয়েই। তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘৃণ্য ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকাকে নিশ্চিহ্ন করার অপপ্রয়াস চালিয়েছিল। কিন্তু শেখ রাসেল দেশের শিশু-কিশোর তরুণ প্রজন্মের কাছে আদর্শ হিসেবেই বেঁচে থাকবে।

রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম তার বক্তব্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শিশু রাসেলসহ ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী সকলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ও তাঁদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন।

তিনি বলেন, শৈশব থেকে দূরন্ত প্রাণবন্ত ছোট শিশু শেখ রাসেল ছিল পরিবারের সকলের আদরের । রাষ্ট্রদূত শেখ রাসেলের জন্মদিনে শিশু দিবস উদযাপনের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিবারসহ অন্যান্যের বিভিন্ন বর্ণনায় শিশু শেখ রাসেলের যে আদর্শ চারিত্রিক বৈশিষ্টের রূপ পাওয়া যায়, তা শিশু-কিশোর সকলের জন্য আদর্শ ।

তিনি এ আদর্শ ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান ।

মুক্ত আলোচনা শেষে ছড়া/কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় অনুর্ধ্ব ১২ বছর এবং ১২+-১৮ বছর বয়সী দুটি বিভাগে প্রবাসী শিশু-কিশোরা অংশ নেয়। এরপর তারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রবাসী বাংলাদেশী ও শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রদূত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা,ছড়া/কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের মধ্যে ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলকে সনদ ও পুরস্কার প্রদান করেন।

দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. মোরশেদুর রহমান তালুকদার এ সকল অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!