সুইজারল্যান্ডে বিনম্র শ্রদ্ধা-স্মরণে জাতীয় শোক দিবস পালন
বিনম্র শ্রদ্ধা আর স্মরণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে সুইজারল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস।
স্থানীয় সময় সোমবার জেনিভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত শোক দিবসের অনুষ্ঠানে শুরুতেই রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হকসহ মিশনের কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশি কমিউনিটি বিশিষ্টজনদের নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান আহমেদ তন্ময় তাহসিনের সঞ্চালনায় আলোচনা পর্বের শুরুতে ইকোনমিক মিনিস্টার আল আমিন প্রামাণিক রাষ্ট্রপতির বাণী , দেবব্রত চক্রবর্তী প্রধানমন্ত্রীর বাণী, কাউন্সেলর কামরুজ্জামান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী এবং প্রথম সচিব (বাণিজ্য) আলমগীর কবির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনান। পরে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা ও ১৫ আগস্টের সকল শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাই নন, স্বাধীনতা লাভের পর ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তিও রচনা করে দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের জন্য স্বীকৃতি আদায়ে তাঁর বিজ্ঞ রাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতি তাঁকে বিশ্বের দরবারে অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতার মর্যাদায় আসীন করেছে।
তিনি বঙ্গবন্ধু আদর্শ ধারণ করে সরকারের চলমান কূটনৈতিক সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি বজায় রাখতে একযোগে কাজ করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি থেকে আলোচনায় অংশ নেন সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা আব্দুর রব, অশোক কুমার সরকার রবি, আবু সালেহ্, সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান প্রমুখ।
কমিউনিটি নেতারা, জাতির পিতার ঐতিহাসিক অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। তারা, জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনিদের পেছনে থাকা পরিকল্পনাকারী ও সুবিধাভোগকারী সকলকে আইনের আওতায় আনা এবং সেইসাথে বিদেশে পলাতক সাজা প্রাপ্তদের অতি দ্রুত দেশে এনে সাজা কার্যকর করার দাবিও জানান ।
বৈশ্বিক অস্থিরতাকে পুঁজি করে দেশে ও প্রবাসে স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার রুখে দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান, প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতারা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্লাবের সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম আজাদ, সুইজারল্যান্ড শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কল্যান পাল, আওয়ামী লীগ নেতা বিপুল তালুকদার, সুমন ভূইয়া, গৌরি চরন সসীম, আইয়ান জুনায়েদ এবং মোমিন খান।
আলোচনার শেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরিচালনা করেন আবু বকর মোল্লা।
সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন শহর থেকে বিপুলসংখ্যক বঙ্গবন্ধু প্রেমিক এবং তাদের পরিবারবর্গ এই মহতি আয়োজনে অংশগ্রহন করেন।