সিডনিতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিস চালু
অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যিক রাজধানী এবং নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের রাজধানী সিডনিতে চালু হয়েছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিস। একজন কনস্যুলেট জেনারেলের নেতৃত্বে ৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি এথানে নিয়োগ করা হয়েছে।
এর ফলে কনস্যুলার সেবার জন্য সিডনিবাসীদের রাজধানী ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আর যেতে হবে না । নো ভিসা রিকোয়ার্ড (NVR), ট্রাভেল ডকুমেন্ট, এটেস্টেশন, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, এন্ডর্সমেন্ট পাসপোর্টের ভিসা নবায়ন ও কনস্যুলার কনসালটেশনসহ সবধরনের সেবা পাওয়া যাবে এই কনস্যুলার অফিস থেকে ।
অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সিডনিতেই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশিরা বসবাস। কনস্যুলার সেবার জন্য তাদের রাজধানী ক্যানবেরাস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের উপরই নির্ভর করতে হতো। মাসের কিছু নিদিষ্ট সময়ে হাইকমিশন অস্থায়ী ক্যাম্প করে সেবা দিয়ে আসলে তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট ছিল না। তাই সিডনিতে স্থায়ী কনসুলার অফিস স্থাপনে বাংলাদেশি কমিউনিটির দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। অবশেষ তা পুরণ হওয়ায় আনন্দে ভাসছে সিডনিবাসী।
সপ্তাহ দুই আগে কার্যক্রম শুরু হলেও সিডনি কনস্যুলেট অফিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় ২ অক্টোবর (বুধবার)। প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান, ডেপুটি হাইকমিশনার তারেক আহমেদ, ফার্স্ট সেক্রেটারি নাহিদ আফরোজ ও তাহমিন দেলোয়ার মুনসহ দেশটির উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও কমিউনিটি নেতারা,মিডিয়া কর্মীরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরুর পর সিডনির কনস্যাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম স্বাগত বক্তব্যে কনস্যুলেট বিস্তারিত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নিউ সাউথ ওয়েলস স্টেট পার্লামেন্টের এমপি মার্ক কোরী, এমপি সোফি কস্টি, প্রসপেক্ট’র এমপি এবং সিডনির কনস্যাল ও হেড অব চেন্সরী মোঃ কামরুজ্জামান। সবশেষ হাই কমিশনার সুফিউর রহমান সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সিডনির ১৮৯ কেন্ট স্ট্রিট প্রথম তলায় স্থাপিত কনস্যুলেট অফিস খোলা থাকবে, সোমবার সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তবে কনস্যুলার সেবা প্রদান করা হবে সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। অপরাহ্ন ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত। এ ছাড়া শনিবার ও রোববার বন্ধ থাকবে। সরকারি ছুটির দিনেও কনস্যুলেট অফিস বন্ধ থাকবে। ফি গ্রহণের জন্য পোস্টাল অর্ডার ও ব্যাংক ড্রাফটের পাশাপাশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও খোলা হয়েছে।
বাংলাদেশ হাই কমিশনের পাশাপাশি সিডনির কনস্যুলেট জেনারেল অফিস থেকেও প্রবাসী বাংলাদেশি এবং অস্ট্রেলিয়ান সিটিজেনদেরকে কনসুলার সেবা প্রদান করা হবে।