সিঙ্গাপুরে করোনা রোধে সব মসজিদ বন্ধ, জুমার নামাজ স্থগিত

করোনাভাইরাস রোধে এবার বন্ধ করে দেওয়া হল সিঙ্গাপুরের সব মসজিদ। এমনকি আগামীকাল (১৩ মার্চ) শুক্রবারের জুমার নামাজও স্থগিত করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের ইসলামিক রিলিজিয়াস কাউন্সিল অব সিঙ্গাপুর (এমইউআইএস) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।

বৃহস্পতিবার সংগঠনটি বলেছে যে, শুক্রবার (১৩ মার্চ) থেকে সিঙ্গাপুরের ৭০ টি মসজিদ পরিষ্কারের জন্য পাঁচ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে। এবং সেখানে কোনও জামাত হবে না। এই সময়ে মসজিদগুলো জীবাণু মুক্ত করা হবে।

মালয়েশিয়ার সেলাংগরে ধর্মীয় সমাবেশে উপস্থিত হওয়া দুই সিঙ্গাপুরি মুসলিম আক্রান্ত হওয়ার পরে করোনাভাইরাসের জীবাণুমুক্ত এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে প্রায় ৯০ সিঙ্গাপুরি ওই সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে ফিরে তাদের কয়েক জন স্থানীয় মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করেছেন।

Travelion – Mobile

এমইউআইএস মসজিদ বন্ধের কারণ ব্যাখ্যা করে বলেছে, মুফতি এবং আন্তর্জাতিক ফতোয়া কমিটি জনস্বাস্থ্য ও সুরক্ষার স্বার্থে এই পদক্ষেপের বিষয়ে একমত হয়েছে। তাদের সম্মতিতেই ইসলামি আইন অনুযায়ী মসজিদ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং ১৩ মার্চ শুক্রবারের জুমার নামাজও স্থগিত করা হয়েছে।

এছাড়া মসজিদগুলিতে পরবর্তী দুই সপ্তাহের জন্য (১৩ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ) পর্যন্ত ধর্মীয় কার্যক্রম, বক্তৃতা, ধর্মীয় ক্লাস এবং মসজিদ ভিত্তিক কিন্ডারগার্টেন সেশন বাতিল করার কথা বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে তারা বলেছে, মুসলমানদের উচিত জুমার বদলে তাদের নিয়মিত দুপুরের (জোহর) নামাজ আদায় করা। শুক্রবারের জুমার খুতবা অনলাইনে প্রচার করা হবে।
এরই মধ্যে দেশটির বেশ কিছু মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মসজিদগুলো হচ্ছে-মসজিদে মুত্তাকিন, মসজিদে কাসিম, মসজিদে হাজ্জাহ ফাতিমাহ এবং মসজিদে জামে সুলিয়া।

মুসলিম সম্প্রদায়কে সুস্বাস্থ্যের জন্য জীবাণুমুক্ত থাকা এবং সামাজিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে। যাতে করোনাভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়তে না পারে।

ভয়ংকর এই ভাইরাস থেকে আত্মরক্ষায় বহুমুখী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সিঙ্গাপুরের মুসলিমরা। তারা মসজিদভিত্তিক গণসচেতনতার কাজ করছে। এর মধ্যে আছে মসজিদে নিজস্ব জায়নামাজ ব্যবহার ও মাস্ক ব্যবহার এবং মুসাফা এড়িয়ে চলা ইত্যাদি। সিঙ্গাপুরের প্রায় ৬০ লাখ জনসংখ্যার প্রায় ১৬ ভাগ মুসলিম।

এ ছাড়া বিপুলসংখ্যক অভিবাসী মুসলিম রয়েছে সে দেশে। প্রতি শুক্রবার বিপুলসংখ্যক মুসল্লি মসজিদে একত্র হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!