লেবাননে বিমানবন্দর আবার চালু, বাধ্যতামূলক নয় কোয়ারেন্টিন

যখন পৃথিবীজুড়ে আনন্দের ভাটা পড়েছে তখন লেবানেন প্রায় সাড়ে তিন মাস পর বুধবার রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর খুলে দেওয়ার লেবানিজ ও প্রবাসীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে গেছে। আকাশপথে চলাচলের দ্বার আবারও উন্মুক্ত হওয়ায় বিশেষ এই মুহুর্তকে উদযাপনের মধ্য দিয়ে বরণ করেছে তারা।

লেবানন ১৮ মার্চ থেকে টানা জুন পর্যন্ত সব ধরণের বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিমানবন্দরটিতে। যদিও এখন মোটে ১০ শতাংশ কার্যক্রম শুরু হয়েছে তবুও কর্মকর্তারা আশা করছেন যাত্রীরা ফিরে আসা শুরু করলে আবারও সরব হবে বিমানবন্দরটি, প্রাণ পাবে লেবাননের নির্জীব অর্থনীতি।

চালু হওয়ার প্রথমদিনেই অনেক নেবানিজ বিদেশ থেকে ছুটে আসতে দেখা যায় পরিবারের টানে, আপনজনের সাথে পুনর্মিলনে। প্রায় ৪ মাসের লকডাউনের কারণে দেশটিতে সাধারণের চলাচল ছিল সীমিত বিশেষ করে যখন বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয় তখন অনেকেই ফিরে আসতে পারেননি তাদের প্রিয়জনের কাছে।

Travelion – Mobile

লেবাননের ডেইলি স্টার সূত্রে জানা গেছে, লেবানন সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে যাত্রীদের আগমনের পর কোয়ারান্টাইন বাধ্যতামূলক করেনি। তবে লেবাননে যেসব যাত্রী প্রাথমিকভাবে ফিরবেন তাদের বেশিরভাগেরই ভ্রমণের আগে নিজ দেশে পিসিআর টেস্টের (করোনাভাইরাস পরীক্ষা) মধ্য দিয়ে আসতে হবে। যদিও বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইন না রাখায় এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগেরও সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়তে পারেন : ডলারের যাতাকলে পিষ্ট বাংলাদেশিদের জীবন!

লেবাননের পাবলিক ওয়ার্কস এন্ড ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লেবাননে যেসব যাত্রী ফিরবেন তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ হবে সেই সব দেশ থেকে যেখানে পিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে আর বাকি ২০ শতাংশ ফিরবেন এমন দেশ থেকে যেখানে তার কোন ব্যবস্থা নেই। এক্ষেত্রে লেবানন সরকার ঘোষণা করেছে, যে সব যাত্রী নিজ দেশে পিসিআর টেস্ট করাবেন তাদের অবশ্যই যাত্রার অন্তত ৯৬ ঘন্টা আগে তা করে ফ্লাইটে উঠতে হবে।

তবে লেবাননে আসার পরও তাদের আবারও পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে, যার জন্য খরচ হবে ১০০ ডলার। অথবা কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত বিনিময় হারে লেবাননের পাউন্ডে তা পরিশোধ করা যাবে যেটি এয়ারলাইন্স সংগ্রহ করবে। এইসব যাত্রীদের লেবাননে আসার ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাদের পিসিআর পরীক্ষার ফলাফলজানানো হবে এবং সেই সময় পর্যন্ত তাদের নিজ বাসভবনে থাকতে হবে।

আরও পড়তে পারেন: ওমানে করোনাকালে শুধু ১০০ রিয়ালেই বিয়ে!

আর যাদের দেশে পিসিআর পরীক্ষা করার সুযোগ নেই তাদের লেবাননে আসার পরপরই একই মূল্য দিয়ে এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে পরীক্ষা করাতে হবে। যদিও এই ভ্রমণকারীদের বৈরুতে আসার ৭২ ঘন্টার মধ্যে একই মূল্যে দ্বিতীয় আরেকটি পিসিআর টেস্ট করানো বাধ্যতামূলক।

লেবাননে আসার পর যে সকল যাত্রীদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পাওয়া যাবে তারা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

পাবলিক ওয়ার্কস এন্ড ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সামরিক কর্মকর্তা, কূটনীতিবিদ, আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য এবং লেবাননের নাগরিক যারা সামাজিক সুরক্ষার আওতায় রয়েছেন তারা ছাড়া বাকী সকল যাত্রীদের জন্য একটি বীমা পলিসি থাকা আবশ্যক। এই বীমা পলিসি করোনা ভাইরাসের সকল চিকিৎসা খরচ বহন করবে।

লেবাননে পৌঁছানোর আগে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা একটি স্বাস্থ্য ঘোষণাপত্র যাত্রীদের পূরণ করতে হবে, যা অনলাইনে পাওয়া যাবে।

সমসাময়িক কুয়েত

Posted by AkashJatra on Wednesday, July 1, 2020

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!