লেবাননে বিনম্র শ্রদ্ধায় অমর একুশে উদযাপন
লেবাননে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
শুক্রবার সকাল ৭ টায় বৈরুত দূতাবাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণ করেন চার্জ দ্যা এফেয়ার্স আব্দুল্লাহ আল মামুন।
পরে দূতাবাস চত্ত্বরে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে প্রথমে পুস্পস্তবক অর্পণ করে মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান চার্জ দ্যা এফেয়ার্স। এসময় বৈরুত দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন।
এরপর একে পুস্পস্তবক লেবাননে বাংলাদেশি কমিউনিটি, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রবাসী সংগঠনের পক্ষে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বিকেলে বৈরুত দূতাবাসের হলরুমে চার্জ দ্যা এফেয়ার্স আব্দুল্লাহ আল মামুন সভাপতিত্বে ও তৃতীয় সচিব আবদুল্লাহ আল সাফি’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় একুশের আলোচনা সভা।
শুরুতেই কোরান তেলওয়াত এবং এরপর প্রদর্শন করা হয় ভাষা দিবসের উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র। তারপর মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
চার্জ দ্যা এফেয়ার্স ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরে বলেন,”মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম ও জীবন দেওয়ার ইতিহাস একমাত্র গর্বিত বাঙালি জাতিরই আছে। এই ভাষা সংগ্রামের অর্জনেই লুকিয়ে ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি অর্জন করে।”
বিদেশের মাটিতে বাংলা ভাষার চর্চা ও লালন করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী -মুজিববর্ষের সব কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তাঁর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশ গড়ায় অবদান রাখার আহ্বান জানান তিনি ।
আলোচনা পর্বে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতারা একুশের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।