লেবাননে ক্যান্সারে আক্রান্ত বাংলাদেশি কর্মী জান্নাত বাঁচতে চান

লেবাননে মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত বাংলাদেশি নারীকর্মী জান্নাত দেশে ফিরতে চান। তবে নেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। অর্থাভাবে চিকিৎসাও প্রায় বন্ধ তার। এমতাবস্থায় জান্নাতের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।

রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) দূতাবাস থেকে ফোনের মাধ্যমে জান্নাতের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরানোর আশ্বাস দেওয়া হয়। এসময় ‘আমি বাঁচতে চাই, দেশে বাবা-মার কাছে ফিরতে চাই, রাষ্ট্রদূত স্যার আমারে সহযোগিতা করেন’ এভাবেই হাউমাউ করে কাঁদছিলেন জান্নাত।

সংসারের অভাব মোচনের জন্য চার বছর আগে লেবাননে আসেন বরিশালের হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান জান্নাত। লেবাননের ডামুর এলাকায় নানির সঙ্গে থাকেন তিনি। আসার পর দীর্ঘমেয়াদি করোনার প্রভাব ও চলমান মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়ে তেমন অর্থও উপার্জন করতে পারেননি। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায়। অসুস্থতার খবর পেয়ে দেশে থাকা স্বামীও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

Travelion – Mobile

গত দেড় মাস আগে জান্নাত শরণাপন্ন হন স্থানীয় চিকিৎসকের। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান, জান্নাতের শরীরে দানা বেঁধেছে দুরারোগ্য ক্যানসার। জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় চার হাজার মার্কিন ডলার। এত অর্থ জোগাড় করা জান্নাতের পক্ষে অসম্ভব। স্থানীয় কয়েকজন বাংলাদেশির আর্থিক সহায়তায় চলছে তার প্রাথমিক চিকিৎসা।

জান্নাতের নানি মুন্নি বেগম বলেন, বর্তমানে আমার কাজ নেই। ময়লার ভাগাড় থেকে লোহা-লক্কর কুড়িয়ে যে অর্থ পাই, তা দিয়ে আমার ও নাতনির সংসার চলছে। তাছাড়া আশেপাশের বাংলাদেশিরাও আমাদের প্রতিদিন সহযোগিতা করছে। কিন্তু মোটা অংকের অর্থের অভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারছি না। পর্যাপ্ত চিকিৎসার অভাবে প্রতিদিনই তার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। জান্নাতের চিকিৎসার জন্য দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করছি।

এদিকে গত রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসুস্থ জান্নাতের একটি ভিডিও প্রকাশিত হলে দূতাবাস তৎক্ষণাৎ জান্নাতের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা ও দেশে ফেরানোর আশ্বাস দেয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!