লেবাননে এক্সিট ভিসার নতুন নিয়ম, অবৈধ প্রবাসীদের ফেরা বিলম্বিত

লেবাননের জেনারেল সিকিউরিটি বিভাগ এক্সিট ভিসার জন্য নতুন নিয়ম চালু করায় অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের স্বেচ্ছায় দেশে প্রত্যাবর্তন কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রক্রিয়ায় কিছু বিলম্বিত হবে । নতুন নিয়মের কারণে এ ক্ষেত্রে কিচুটা জটিলতা দেখা গেছে। তবে বাংলাদেশ দূতাবাস তা নিরসনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষ কর্মসূচির আওতায় স্বেচ্ছায় দেশে যাওয়ার জন্য বৈরুত দূতাবাসে নিবন্ধনকারীদের মধ্যে বাকীদের মধ্যে ৪৯৯ জনের চলতি মাসে দেশে ফেরা নির্ধারিত ছিল।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৬০১ থেকে ১১০০ পর্যন্ত সিরিয়ালধারীদের টিকেট জানুয়ারি মাসে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই জেনারেল সিকিউরিটি এক্সিট ভিসার নতুন নিয়ম চালু করায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। দূতাবাস জেনারেল সিকিউরিটির সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

Travelion – Mobile

দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, জেনারেল সিকিউরিটি এক্সিট ভিসার নতুন নিয়মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকারীদের ফিঙ্গার প্রির্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ নিয়মের কারণে নিবন্ধনকারী বাকিদের ভিসা আটকা পড়ে।

বিষয়টি সময় সাপেক্ষ এবং যারা এরই মধ্যে ফিরতে প্রস্তুত রয়েছেন তাদের জন্য বাড়তি ঝামেলা বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। তাই দূতাবাস কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় দফায় ফিরতে প্রস্তুত অবৈধ প্রবাসীদের জন্য এই নিয়ম রহিত করার জন্য দেন দরবার করছে।

 স্বেচ্ছায় দেশ ফিরতে নিবন্ধনকারীদের বিমান টিকেট তুলে দিচ্ছেন লেবাননে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার
স্বেচ্ছায় দেশ ফিরতে নিবন্ধনকারীদের বিমান টিকেট তুলে দিচ্ছেন লেবাননে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার

বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) আবদুল্লাহ আল মামুন আকাশযাত্রাকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার ( ২৩ জানুয়ারি) জেনারেল সিকিউরিটি বিভাগ থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানানো হয় যে, কাগজপত্রবিহীন যে সকল প্রবাসী দেশে ফিরতে ইচ্ছুক তাদের ডিটেনশন সেন্টারে গিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে হবে। প্রতি সপ্তাহে ৫০ জন করে অবৈধ প্রবাসীর ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে দূতাবাস থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং এ নিয়ম বাতিলের জন্য অনুরোধ জানিয়ে জেনারেল সিকিউরিটিকে পত্র দেওয়া হয়েছে।’

তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রত্যাবর্তনকারীদের কয়েকজন টেলিফোনে আলাপকালে বলেন, দীর্ঘ সময় পর বাংলাদেশ দূতাবাস অবৈধদের দেশে পাঠাতে যে উদ্যােগে নিয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ঠ। নতুন নিয়মের কারণে আমাদের যাত্রা বিলম্বিত হলে সেখানে দূতাবাসের করা বা কি আছে। তবে দূতাবাস সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে জেনে আমরা খুশী। আমরা আশা করছি সুফল আসবেই।’

গত ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ দূতাবাসের বিশেষ কর্মসূচীর আওতায় স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত ইচ্ছুক প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশি এক বছরের জরিমানা ও এয়ার টিকেটের টাকা পরিশোধ করে দূতাবাসে নাম নিবন্ধন করেন।

তাদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৪৯০ জন অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশি বৈরুত দূতাবাসের সহযোগিতায় দেশে ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছেন ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!