লেবাননে আবারও প্রবাসীদের টিকাদান কর্মসূচী
বাংলাদেশিদের ভিড়
লেবাননে আবারো শুরু হয়েছে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের করোনার টিকাদান কর্মসূচী। শনিবার রাজধানী বৈরুতের শহীদ রফিক হারিরি হাসপাতালে শুরু হয় ৪ দিনের এই কর্মসূচী। টিকা নিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেক ভিড় দেখা যাচ্ছে কর্মসূচীতে।
লেবাননের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (IOM) ও বাংলাদেশ দূতাবাস যৌথভাবে ১৮ বছরের উর্ধ্বে অভিবাসীদের জন্য এই টিকাদান কর্মসূচীর আয়োজন করে।
কর্মসূচীর প্রথম ২ দিনে শনি ও রবিবার বিভিন্ন দেশের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী কর্মসূচীর মাধ্যমে করােনা টিকা নেন। তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি রেজিষ্টেশন করে টিকানেয়ার সুযােগ পান।
প্রথম ২ দিনে প্রায় ৮ শতাধিক বাংলাদেশি টিকা নিয়েছেন বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে।
টিকা প্রদান কর্মসূচী সরেজমিনে দেখতে গিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রবাসীদের জন্য এমন কর্মসূচী নেওয়ার জন্য লেবানন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, লেবাননের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার সাথে দূতাবাসের সার্বক্ষনিক যোগাযোগ এবং প্রচার প্রচারণার ফলে বাংলাদেশিরা উদ্বুদ্ধ হয়ে টিকা নিচ্ছে। আমরা আশা করছি প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে টিকা নেয়ার এই সুযোগ নিবেন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার মেডিকেল দলের তত্ববধায়ক নাদা নাজেম বলেন, আমি খুবই খুশি যে অভিবাসীরা নিজেদের সুরক্ষার্থে টিকা নিচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশ দূতাবাস সহ সংশ্লিস্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
দেশটিতে বেশিরভাগ বাংলাদেশির হাতে প্রযোজনীয় ডকুমেন্ট না থাকা ও বয়সসীমার কারণে অনেকেই এতদিন করোনা টিকা নিতে পারেনি। তাছাড়া আগে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বয়সসীমা ৩০ বছর নির্ধারন করে দিলেও বর্তমানে তা কমিয়ে ১৮ বছর করা হয়েছে। তাই ১৮ বছরের উর্ধ্বে অভিবাসীরা সহজেই কর্মসূচীতে এসে করোনা টিকা নিতে পারছেন।
টিকা নেওয়া বাংলাদেশিরা সার্বিক পরিবেশের প্রশংসা করে লেবাবনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাসসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এর পর আগামী ২৭ ও ২৮ নভেম্বর বাকী ২ দিনের টিকাদান কর্মসূচী শহীদ রফিক হারিরি হাসপাতালে হবে। এ ছাড়াও ২৩ নভেম্বর আলাইয়ের আল ঈমান হাসপাতালে প্রবাসীদের জন্য টিকার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এর আগে ১ম পর্যায়ে গত আগষ্টে ২ দিনের কর্মসূচিতে প্রায় ১ হাজার ৮ শতাধিক বাংলাদেশি করোনা টিকা গ্রহন করে।
