লেবাননের এক সপ্তাহের মধ্যে খাদ্যের দাম কমার সম্ভাবনা
লেবানেন এক সপ্তাহের মধ্যে খাদ্যের দাম কমতে শুরু করবে, এমন প্রত্যাশা দেশটির অর্থনীতি ও বাণিজ্যমন্ত্রী রাউল নেহমের।
বুধবার (৩ জুন ) তিনি বলেছেন, দেশের ব্যাংকগুলি বেসরকারী শিল্প ও খাদ্য আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ করার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পরে খাদ্যের দাম কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
নেহম স্থানীয় পত্রিকা আল-জৌমোরিয়াকে বলেছেন, “কিছু সংস্থা বন্দরে পণ্য আগমনের জন্য অর্থ প্রদান করেছে। বন্দর থেকে পণ্য ছেড়ে আসার পর লেবাননে জনগণ সাম্প্রতিক সময়ে এক সপ্তাহের মধ্যে খাদ্যদ্রব্যের মৌলিক মূল্যের পার্থক্য অনুভব করতে শুরু করবে।”
“আমরা খাদ্য পণ্য ও কাঁচামালের অর্ডার ডুবে গেছি এবং কোম্পানিগুলোকে সকধরনের সহায়তা দিচ্ছি। সুতরাং এখন থেকে অপারেশন করা সহজ এবং মসৃণ হবে”, মন্ত্রী যোগ করেন।
২০১৯ সালের অক্টোবরের পর থেকে বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র সঙ্কটে দেশটিতে প্রয়োজনীয় আমদানির অর্থায়ন ক্রমশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। নগদ মুদ্রার ঘাটতি এবং লেবাননের লিরার অবমূল্যায়ন খাদ্যের দামকে আকাশচুম্বী করে, কারণ লেবানন তার খাদ্যের চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ আমদানি করে এবং আমদানি মূল্য অবশ্যই ডলারে পরিশোধ করতে হয়।
মঙ্গলবার (২জুন) লেবাননের শিল্পমন্ত্রী ইমাদ হোবাল্লাহ এবং অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকস (এবিএল) কাঁচামাল আমদানিতে লড়াই করে যাওয়া দেশটি শিল্পপতি-ব্যবসায়ীদের সমর্থন করার জন্য সমঝোতায় এসেছে এবং চুক্তি করেছে।
এবিএলের প্রধান সেলিম সিফিয়ার শিল্পপতিদের একাধিক ‘লোন লাইন’ সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছেন। এগুলি কম সুদের হারে আবদ্ধ করা হবে।
২০২০ সালের মার্চ মাসের আগে এবং পরে পরিপক্ক হওয়া ঋণ পরিশোধের জন্য শিল্পপতিদের ৬ মাসেরও বেশি সময় নির্ধারণ করা হবে বলেও ঘোষণা দেন এবিএল প্রধান। এছাড়া শিল্পপতিদের অপারেশনাল ক্লায়েন্টের প্রয়োজনের নিশ্চয়তা এবং কর্মচারী এবং প্রত্যক্ষ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের জন্যও নতুন ব্যতিক্রমী ঋণ দেবে এবিএল। ঋণ পরিশোধে দেরি হওয়া শিল্প বা ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে মামলা ও আইনী কার্যক্রমও ২০২০ এর শেষ অবধি বন্ধ করা হবে।
অন্যদিকে দেশটির পার্লামেন্ট সম্প্রতি লেবাননের শিল্পখাতকে সহায়তার জন্য এলএল ৪৪০ বিলিয়ন লিরা রাখার প্রস্তাব পাস করেছে।