লিসবনে করোনার ছোবলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বাংলাদেশ কমিউনিটিতে ডেল্টা ভেরিয়েন্টসহ করোনার সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। গত বছরের মার্চে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনার প্রথম আঘাতের চেয়ে সংক্রমণ ও আক্রান্তের হার বেশি বর্তমানে বাংলাদেশ কমিউনিটিতে।
বর্তমানে বাংলাদেশ কমিউনিটির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লিসবনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত মাতৃ মনিজ এলাকায় প্রায় ৫০ শতাংশ প্রবাসীর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি শ্বাস-প্রশ্বাস, উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর সমস্যায় নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে আইসিইউতে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণে এবং পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হওয়ায় অনেকেই বাংলাদেশ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না এবং বাংলাদেশ থেকেও পরিবার এখানে বসবাসরত ব্যক্তিদের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
আগের খবর : পর্তুগালে খোলা মাঠে ঈদ জামাত স্থগিত, মসজিদে ব্যবস্থা
প্রবাসী সাংবাদিক ও লেখক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বলেন, আমাদের কমিউনিটিতে সংক্রমিত হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে স্বাস্থ্য বিধিমালা নিয়ে অসচেতনতা, সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান না করা, শারীরিক দূরত্ব বজায় না রাখা এবং ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকার ভয়ে লক্ষণ থাকার পরেও পরীক্ষা না করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা ।
” যার ফলে তাদের সংস্পর্শের ফলে আশপাশের ব্যক্তিরা খুব সহজেই আক্রান্ত হচ্ছে যাহা খুবই দুঃখজনক বিষয় আমাদের জন্য” তিনি যোগ করেন।
এখন পর্যন্ত পর্তুগালে সর্বমোট ১ কোটি ৬ লাখ ৯৪ হাজার ৪৪৭ জন করোনা টিকা গ্রহণ করেছেন পর্তুগালে, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশ এর চেয়েও বেশি।
রাজধানী লিসবনসহ পুরো পর্তুগালের উচ্চ করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিরাজ করায় ৯০ টি সিটি করপোরেশনে আরোপ করা হয়েছে বিভিন্ন বিধিনিষেধ।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী ১৬ জুলাই পর্যন্ত পর্তুগালে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ২৩ হাজার ৭৪৭ জন। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ১৯৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৫৭ হাজার ১০৮ জন।