লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে ৭৪ শরণার্থীর মৃত্যু

লিবিয়া উপকূলে একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ৭৪ জন শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ওই নৌকায় একশ ২০ জনের বেশি যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে নারী ও শিশু ছিল। এরই মধ্যে ৪৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। জাতিসংঘের বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপি এই তথ্য জানায়।

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ১২০ কিলোমিটার পশ্চিমে বন্দরনগরী খোমস উপকূলে এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এখনো নিখোঁজ থাকা লোকজনকে উদ্ধারে তল্লাশি কার্যক্রম চালাচ্ছে কোস্টগার্ড। সঙ্গে স্থানীয় জেলেরাও আছেন।

আইওএম জানিয়েছে, নৌকাটিতে অন্তত ১২০ জন আরোহী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু ছিল। নৌকাটি ডুবে যাওয়ার পর ৪৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করে তীরে আনা হয়। আর এখন পর্যন্ত ৩১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

Travelion – Mobile

সবশেষ এই ঘটনাকে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ‘সিরিজ’ ট্র্যাজেডির অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছে আইএমও। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে আরও অন্তত আটটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।

আইএমও জানিয়েছে, গত দুই দিনে মধ্য ভূমধ্যসাগরে দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় আরও অন্তত ১৯ জন মারা গেছেন। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্যমতে, গত সাত বছরে সমুদ্রপথে ২০ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর মধ্য ভূমধ্যসাগরে অভিবাসনপ্রত্যাশীবাহী নৌকাডুবির ঘটনা আবার বেড়েছে।

অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার জন্য অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী সমুদ্রপথ বেছে নিচ্ছেন। বিপজ্জনক এই সমুদ্রযাত্রায় পথেই অনেকে সবচেয়ে করুণ পরিণতি বরণ করছেন। আইএমও জানিয়েছে, ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে চলতি বছর অন্তত ৯০ জন মানুষ ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!