ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য প্রয়োজনীয় ২০টি টিপস

ভ্রমণে যাওয়ার আগে এবং যেয়ে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত।। চলুন জেনে নেয়া যাক ভ্রমণ সম্পর্কিত কিছু টিপস ও কৌশল- ১. সারাদিনের একটি ভ্রমণপরিকল্পনা আগেই করুন। এতে সময় কিছু বাঁচবে, সব রকম পরিস্থিতির জন্যও আপনি মোটামুটি প্রস্তুত থাকবেন। ২. কত টাকা খরচ করবেন, তাও আগে থেকেই ঠিক করে নিন। এরপর বাজেট অনুসারে খরচ করুন। মনে […]

ভ্রমণে যাওয়ার আগে এবং যেয়ে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত।। চলুন জেনে নেয়া যাক ভ্রমণ সম্পর্কিত কিছু টিপস ও কৌশল-

১. সারাদিনের একটি ভ্রমণপরিকল্পনা আগেই করুন। এতে সময় কিছু বাঁচবে, সব রকম পরিস্থিতির জন্যও আপনি মোটামুটি প্রস্তুত থাকবেন।

২. কত টাকা খরচ করবেন, তাও আগে থেকেই ঠিক করে নিন। এরপর বাজেট অনুসারে খরচ করুন। মনে রাখবেন, বেহিসাবি হলে ঝুট-ঝামেলা থেকে শুরু করে বড় বিপদও আপনাকে মোকাবেলা করতে হতে পারে।।

Travelion – Mobile

৩. হোটেল ভাড়া ও আনুষাঙ্গিক খরচের খোঁজ নিয়ে রাখুন আগে থেকেই। তবো ক্যাম্পে থাকলে নিশ্চিত হয়ে নিন তার উপযোগিতা ও নিরাপত্তার বিষয় ।

৪. ভ্রমণ সুষ্ঠ-সুন্দর হবে- এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ঝামেলায় আসতে পারে । তা কিভাবে সামলাবেন, প্রাথমিক প্রস্তুতি আগে থেকে নিয়ে রাখাই ভালো।

৫. কী কী খাবেন আর কোন সময়টায় ঘুমাবেন- আপাতদৃষ্টিতে এ বিষয়গুলোকে অনেকেই গুরুত্ব না দিলেও, এগুলো কিন্তু জীবনের অপরিহায অংশ। তাই এ-সংক্রান্ত একটি তালিকা আগে থেকেই ঠিক করে নিন।

৬. টুরিস্ট রেস্টুরেন্টগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। যেখানে বেড়াতে গিয়েছেন সেখানে আশেপাশে ঘুরে, লোকাল বসবাসকারীরা যেখানে খায় সেখানে খাওয়া-দাওয়া সারবেন। খরচটা কমবে উল্লেখযোগ্যভাবে।

৭. একদম ভ্রমণ মৌসুমে না গিয়ে একটু কম পর্যপক সমাগম হয় এমন সময়ে ভ্রমণে যান। গ্রীষ্মের ছুটি বা বছর শেষের শীতের বন্ধের সময়টি ভ্রমণের সবথেকে উপযুক্ত মৌসুম বলে বিবেচনা করা হয়। একদম এ সময় না গিয়ে এর কাছাকাছি কোন সময়ে যেতে পারেন। তবে ভ্রমণ স্থানে অফ-সিজনে যাওয়াটা একদমই উচিত নয়।

৮. ঘুরতে গিয়ে কোনো রেস্টুরেন্টে খাওয়ার থেকে কোন দর্শনীয় স্থানে পিকনিক করতে পারেন। এতে আপনি স্থানীয় সংস্কৃতি, রীতিনীতি খুব কাছে থেকে উপলব্ধি করতে পারবেন।

৯. একটা শহরের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় অভ্যন্তরীণ যাতায়াতের জন্য বাসই সবচেয়ে উত্তম পন্থা। ভ্রমণের স্থান সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান না থাকলে ট্যাক্সি বা রেন্ট-এ-কার এ অনেক সময় অনেক অযাচিত অবস্থায় পড়তে হতে পারে।

১০. হেঁটে যাওয়া বাদ দিয়ে বাস এ যাতায়াতই সব থেকে সাশ্রয়ী। আপনি যদি কোনো স্থানে ভ্রমণে যেয়ে রেন্ট-এ-কার থেকে গাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন এবং নিজেই সে গাড়ি চালান তাহলে একটু ট্র্যাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন থেকে ড্রাইভ করুন।

১১. কোথায় গাড়ি পার্ক করছেন এ ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকুন, কেননা চোরেরা টুরিস্টের গাড়ি বুঝতে পারলে চুরি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

১২. একটি দেশে ঘুরতে যেয়ে তার এক শহর থেকে আরেক শহরে যাতায়াতের সময় কোন পরিবহন ব্যবহার করবেন তার ব্যাপারে ভালোভাবে খোঁজখবর করে নিন।

১৩. পানির একটি বোতল সাথে রাখুন। রেস্টুরেন্ট বা হোটেল থেকে এই বোতলে পানি রিফিল করে নিন। তা না হলে আপনাকে পানির বোতল কিনে খেতে হবে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, পানির বোতলের খরচ বাদ গেলেই দেখবেন আপনার একটা প্রমাণ পরিমাণ টাকা সাশ্রয় হয়েছে যা আপনি শপিংয়ে ব্যয় করতে পারবেন।

১৪. অনেক ছোটখাটো কিন্তু প্রয়োজনীয় জিনিস আমরা ভ্রমণকালে নিতে ভুলে যাই। তা হতে পারে টুথব্রাশ, পেস্ট, শেভিং ক্রিম বা রেজর। কখনোবা ফোনের চার্জার। এ ক্ষেত্রে তা কেনার জন্য আপনাকে বাইরে যেতে হবে না। হোটেলেই এইসব সামগ্রী অনেক পরিমাণে থাকে। হোটেল থেকেই আপনি নামমাত্র মূল্যে প্রয়োজনীয় এরকম সামগ্রী কিনে নিতে পারেন।

১৫. আপনি যদি গ্রীষ্মে কোথাও ভ্রমন করেন বা উষ্ম আবহাওয়ার কোথাও ঘুরতে যান তাহলে এমন কোনো হোটেলে উঠুন যেখানে গরম-ঠাণ্ডা উভয় পানির ব্যবস্থা না, শুধুমাত্র ঠাণ্ডা পানির ব্যবস্থাই আছে।

১৬. কোন দেশে ঘুরতে গেলে কম সময়ে সাশ্রয়ীভাবে তাদের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার একটা উপায় হল- চেষ্টা করুন ওই দেশি কোনো উৎসব বা ফেস্টিভাল এ অংশগ্রহণ করতে। যেমন- ইন্ডিয়ার হোলি, ব্রাজিলের রিও ফেস্টিভাল, ইউএসএ তে ক্রিস্টমাস ইত্যাদি।

১৭. যদি আপনি ভ্রমণের খরচটা বাঁচানোর সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে চান তাহলে ভ্রমণকারী গ্রুপে বা বন্ধুরা দলবদ্ধ হয়ে ভ্রমনে যেতে পারেন।

১৮. এক শহর থেকে আরেক শহর বা দূরের পথ যদি আপনি ট্রেন বা গাড়িতে করে যান, তাহলে তা অবশ্যই রাতে করুন। এতে আপনার রাতে থাকার হোটেলের খরচও বেঁচে যাবে, আবার আপনি একটু অভ্যস্ত হয়ে গেলে গাড়িতেই ঘুমিয়ে নিতে পারবেন। তবে নিজের ব্যাগ ও মূল্যবান জিনিসপত্র সামলে রাখবেন।

১৯. অবশ্যই কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে ওয়েবসাইটে এবং ট্যুর গাইডবুক থেকে সে স্থান সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। ট্যুরিজম ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে সেখানের সম্পর্কিত হোটেল বা এয়ারলাইনে কী কী অফার চলছে তা জেনে নিন এবং দাম তুলনা করে নিন।

২০. ফার্স্ট এইড বক্স নিতে তধনও ভুলবেন না। একটি ছোটো ব্যাগে পেট খারাপ, অ্যাসিডিটি, বমি, জ্বর, মাথা ধরার ওষুধ নিয়ে নিন। আরো নিন ব্যান্ড এইড, অ্যান্টিসেপটিক, পরিমাণ মতো তুলো ও গজ। এগুলো সঙ্গে থাকলে অনেক বড় বিপদ থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!