লাইভ শোতে ২ সৌদি সমকামি তরুণীর ভালোবাসা প্রকাশ!
মৃত্যুদণ্ডের মুখে সৌদি ছেড়ে লন্ডন পাড়ি
মৃত্যুর শাস্তির ভয়ে সৌদি আরব ছেড়ে লন্ডনে পালিয়ে আসা সমকামি দুই তরুণী এবার প্রকাশ্যেই টিভি চ্যানেলে একে অপরের প্রতি তাদের ভালবাসার কথা জানিয়েছেন। বলেছেন নিজেদের সমকামী জীবন নিয়ে। এই দুই সমকামি তরুণী হলেন ফাদ ও নাজঁ।
তাদের সম্পর্কের বিষয়টি নিজের দেশ সৌদি আরবে গোপন রাখতে বাধ্য হয়েছিল, কারন সৌদি আরবের শরিয়া আইনে সমকামিতার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ২০১৮ সালে লন্ডনে আসার পর ফাদ এবং নাজঁ রাজনৈতিক আশ্রয় পান।
মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনে পালিয়ে এসে নিরাপদ হওয়ার পরই তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের সমকামিতা সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ করে। তখন নাজেঁর স্বজনরা তাত্ক্ষণিকভাবে তার সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়।
লন্ডনে তাদের নতুন পারিপার্শ্বিকে মৃত্যুর কোন আশঙ্কা নেই । একে অপরক স্বাধীনভাবে ভালবাসাতে পারছেন, খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। তারা এখন সুখী দম্পতি!
তারা এখন এতটা স্বাধীন যে ভালোবাসা দিবসের বিশেষ দিনে ডিডাব্লু চ্যানেলে প্রচারিত আরবি ভাষার টিভি শো ‘জাফর টক’ কে লাইভ সাক্ষাত্কার দিয়ে নিজেদের সমকামিতা জীবনের আদ্যপ্রান্ত অকপটে তুলে ধরেন।
নাজঁ জানান, স্ন্যাপচ্যাট থেকেই তিনি ফাদের সঙ্গে প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিশোরী অবস্থা থেকেই নাজঁ বুঝতে পারেন যে তিনি একটু আলাদা। আর তখন থেকেই তিনি ছেলেদের পোশাক পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। তবে এতে পরিবারের বাধা ছিল বলেও জানান নাজঁ।
ডিডাব্লু চ্যানেলে সমাকামী নারী যুগলের সৌদি আরবে থাকাকালীন এবং বর্তমানের বিভিন্ন ছবি প্রকাশ করে।
টেলিভিশন শোতে এসে সমকামিতার কথা জানানো নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই নিয়ে নেটিজেন ‘আইসর আইরাক’ লেখেন, প্রত্যেকের স্বাধীনতা আছে তারা যা চায় সেটি করার। ‘টাঙ্গিরোস্টম’ লিখেছেন, “তাদের আবেগ আমাদের কোনও বিষয় নয়। সভ্য দেশগুলিকে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণার মাধ্যমে তারা প্রদত্ত স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারে যা তাদের সুরক্ষা দেয়।”
এর বিরোধিতা করে আরেকজন লেখেন, এটি তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা, তবে টিভিতে এসে বলার কি আছে এ নিয়ে?