লকডাউনে বিমানবন্দরে ৭৪ দিন আটকে ফুটবলার!

ভারতে লকডাউন ফ্লাইট বাতিলের কারনে শেষমেশ বিমানবন্দরই বসতবাড়ি হল ঘানার এক ফুটবলারের কাছে। টানা ৭৪ দিন ধরে মহারাষ্ট্রের মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই আটকে ছিলেন ঘানায়িয়ান ফুটবলার রান্ডি জুয়ান মুলার।পরে ভারতীয় ‘যুবসেনা’ এসে রক্ষা করে ওই উঠতি ফুটবলারকে।

কেরালা রাজ্যের একটি ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলেন মুলার। লকডাউন ঘোষণা হওয়ার ঠিক কয়েক মুহূর্ত আগেই মুলারকে কেনিয়া এয়ারওয়েজে নিজের দেশে ফেরত যাওয়ার ছাড়পত্র দেয় কেরালার ওই ক্লাব। এ দিকে এয়ারপোর্টে পৌঁছেই মুলার জানতে পারেন, ভারতেও লকডাউন জারি হয়েছে। যার কারণে কোনও ফ্লাইটই আর উড়বে না।

টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, মুলারকে এই মুহূর্তে মুম্বাই বিমানবন্দরের কাছেই একটি হোটেলে রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল পুনরায় শুরু হলেই নিজের দেশে ফিরে যেতে পারবেন ফুটবলার মুলার। তবে এমন সংকটজনক পরিস্থিতিতে ওই ফুটবলারের পাশে দাঁড়িয়েছিল মুম্বাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। খাবার তো বটেই সঙ্গে সব সময়ের জন্য এয়ারপোর্টের ওয়াইফাই পরিষেবাও মুলার-কে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়।

Travelion – Mobile

বিমানবন্দরে নিরাপত্তারক্ষী জুয়ান মুলারকে একটি মোবাইল ফোন দিয়েছিলেন, যাতে বাড়ির সঙ্গে তিনি সব সময় যোগাযোগ রাখতে পারেন। শুধু তাই নয় নিজেদের খরচে তাঁর ফোনের রিচার্জ করিয়ে দিতেন।

একটি ট্যুইটে মহারাষ্ট্রের পর্যটনমন্ত্রী আদিত্য ঠাকরের দৃষ্টি আকর্ষিত হয় মুলারের প্রতি। আর তারপরই রাহুল কানাল নামের যুবসেনা-র ওই কর্মী মুলারের কাছে পৌঁছে যান, সাহায্য করতে। বিমানবন্দরের কাছেই একটি হোটেলেও নিয়ে এসে রাখেন তাঁকে।

যুবসেনার কর্মী রাহুল কানাল বলছিলেন, “বিমানবন্দরের ফ্যান্সি আর্টিফিসিয়াল গার্ডেনেই দিনযাপন করছিলেন জুয়ান মুলার। স্টল থেকে খাবার কিনছিলেন। দিব্যি খোশমেজাজে এয়ারপোর্টের স্টাফদের সঙ্গে আড্ডাও দিতেন। মুলারই আমাকে বলছিলেন, এয়ারপোর্টের কর্মীরা খুবই সাহায্য করেছেন তাঁকে।”

শনিবারই আদিত্য ঠাকরেকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুলার বলেন, “তোমরা আমার জন্য যা করলে, তার জন্য অনেক ধন্যবাদ আদিত্য ঠাকরে এবং রাহুল কানাল। অসংখ্য ধন্যবাদ। স্যালুট জানাই তোমাদের।”

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!