যে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাভবান হবেন কৃষকরা!

মোদির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

ভারতের রাজধানী দিল্লির অদূরে উত্তর প্রদেশের নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষক মন জেতার চেষ্টা চালিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এই বিমানবন্দর চালু হলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে পশ্চিম উত্তর প্রদেশের কৃষক সমাজ। তাঁরা তাঁদের উৎপাদিত ফল, সবজিসহ সব ধরনের ফসল দেশ-বিদেশে সরাসরি রপ্তানি করতে পারবেন।

ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরে রাজধানী দিল্লি অঞ্চলে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (NIA)। বিমানবন্দরের প্রথম পর্যায়টি ১৩০০ হেক্টরেরও বেশি জমিতে বিস্তৃত এবং ২০২৪ সালের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করার কথা রয়েছে। চালু হলে, বিমানবন্দরটিকে এশিয়ার বৃহত্তম বিমানবন্দর হিসাবেও গণ্য করা হয়।

দেড় বছর ধরে চলা কৃষক আন্দোলন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখন্ড, রাজস্থান ছাড়া প্রবল প্রভাব ফেলেছে উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে। এই কারণে সামনের বছরের গোড়ায় উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন শাসক বিজেপির কপালে চিন্তার গভীর ভাঁজ ফেলেছে।

Travelion – Mobile

পরিস্থিতির সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী সচেষ্ট। ক্ষতির সামাল দিতে কিছুদিন আগে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছেন। এখন চেষ্টা চালাচ্ছেন আন্দোলনরত কৃষকদের মন জেতার।

দিল্লির নিকটবর্তী নয়ডার জেওয়ারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তাই তিনি টেনে আনলেন কৃষকদের সুবিধার প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বিমানবন্দরের জন্য কর্মসংস্থান হবে লক্ষাধিক মানুষের। কৃষক ছাড়াও উপকৃত হবেন আলীগড়, মিরাট, মথুরা, আগ্রা, বিজনৌর, বেরোলি, মোরাদাবাদের মতো শহরের মানুষজন।

অনুষ্ঠানে ভারতের কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, “উত্তরপ্রদেশে এখন পর্যন্ত মাত্র চারটি বিমানবন্দর ছিল এখন নয়টি রয়েছে এবং এটি হবে দশম। আগামী বছরগুলিতে, রাজ্যে মোট ১৭টি বিমানবন্দর তৈরি হবে। দুটির জায়গায় উত্তরপ্রদেশে পাঁচটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থাকবে।”

বিমানবন্দরটি যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের পাশাপাশি নয়ডা মেট্রো দ্বারা সংযুক্ত হবে। দিল্লি এবং বারাণসীর মধ্যে প্রস্তাবিত ৮০০-কিমি-লম্বা হাই-স্পিড রেললাইনটিও নতুন বিমানবন্দরে থামবে বলে আশা করা হচ্ছে।

“বিমানবন্দরের নকশা যাত্রীদের সুবিধার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। বিমানবন্দরের প্রক্রিয়াগুলি ডিজিটালভাবে সক্ষম হবে। আমরা একটি নেট-জিরো কার্বন নিঃসরণ বিমানবন্দর হওয়ার দিকে কাজ করছি এবং সেপ্টেম্বর/অক্টোবর 2024 এর মধ্যে চালু করার লক্ষ্য রাখছি,” নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিওও কিরণ জৈন সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!