যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রীকে হত্যার পর বাংলাদেশির আত্মহত্যা

যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনার স্ত্রী সৈয়দা সোহেলী আকতার চায়নাকে (৪৩) গুলি করে হত্যার পর স্বামী আবুল আহসান হাবিব (৫২) একই বন্দুকের গুলিতে আত্মহত্যা করেছেন। নিজেদের বাসা থেকে বাংলাদেশি দম্পতির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সময় (২৭ সেপ্টেম্বর) রবিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা স্টেটের ফিনিক্স সিটির লাভিনের এলাকার এই হত্যাকাণ্ডে কমিউনিটিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ফিনিক্স পুলিশ জানায়, গুলিতে স্বামী-স্ত্রী নিহত হবার কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যা করে আবুল আহসান হাবিব (৫২) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি। কলহের একপর্যায়ে সৈয়দ সোহেলি আক্তার (৪২) নামে ওই গৃহবধূ ৯১১ জরুরি সেবায় ফোন করে তাকে বাঁচানোর জন্য আকুতি জানান। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় তার স্বামী তাকে গুলি করেন। রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে বলে প্রতিবেশীরা জানান।

Travelion – Mobile

স্বামী-স্ত্রী দুজনের বাড়িই বাংলাদেশের মাগুরায়। আবুল আহসান হাবিব নামে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার স্ত্রী সৈয়দ সোহেলি আক্তারের দীর্ঘদিন সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না।

পারিবারিক ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসে দুই পুত্রসহ এই দম্পতি ২০০৮ সালে আরিজোনায় বসতি গড়েন। স্বামী-স্ত্রী উভয়েই কর্মজীবী। সেখানে একটি পার্লার চালাতেন সোহেলি আর আহসান কাজ করতেন দোকানে। লভেনের বাংলাদেশি কমিউনিটির একাধিক প্রবাসী জানান, স্ত্রীকে নিয়ে আহসান সারাক্ষণ অভিযোগ করতেন। দুই ছেলের দিকে খেয়াল রাখতেন না। কিন্তু স্ত্রী এসব অভিযোগ কখনই পাত্তা দেননি।

রোববার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে আহসান হাবিবের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় দুজনের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। পরে স্ত্রী পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানানোর সময় গুলি করেন আহসান হাবিব। স্ত্রীকে হত্যার পর তিনিও আত্মহত্যা করেন।

আরিজোনার সর্ববৃহৎ পারিবারিক সহিংসতার শিকারদের আশ্রয়কেন্দ্রের সিইও মারিয়া মোহন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। এ কারণে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। বাংলাদেশি দম্পতির প্রাণহানির ঘটনা তাই প্রমাণ করে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!