যুক্তরাজ্যে ‘নোয়াখালী উৎসব’ উদযাপন

যুক্তরাজ্যে নোয়াখালী সমিতির উদ্যোগে বর্ণঢ্য আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে নোয়াখালী উৎসব ২০২২। বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জেলা নোয়াখালীর প্রতিষ্ঠার ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। ১৮২১ সালে ভূলুয়া নামে প্রতিষ্ঠা লাভের পর ১৮৬৮ সালে এই জেলার নাম বদলে রাখা হয় নোয়াখালী।

স্থানীয় সময় রবিবার (১২ জুন) রাজধানী লন্ডনের রয়্যাল রিজেন্সি হলে আয়োজিত দিনব্যাপী উৎসবে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত নোয়াখালীর মানুষেরা দিনভর আনন্দউৎসবে পার করেন। যোগ দেন টাওয়ার হ্যামলেটস মেয়র লূতফুর রহমানসহ স্থানীয় রাজনীতিবিদ, এমপি, মেয়র, কাউন্সিলরসহ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যক্তিত্ব ও সংগঠকরা।

সকালে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এছাড়াও পরিবেশিত হয় নোয়াখালী উৎসবের সূচনা সংগীত। এরপর অনুষ্ঠানস্থল হতে বের করা হয় বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি। মধ্যহৃ আয়োজনে ছিল নোয়াখালীর আঞ্চলিক গানের পরিবেশন এবং জেলার নোয়াখালীর ইতিহাস, ঐতিহ্যের উপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন।

ক্তরাজ্যের লন্ডনে নোয়াখালী উৎসব উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি
ক্তরাজ্যের লন্ডনে নোয়াখালী উৎসব উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি

আলোচনায় পর্বে বক্তারা, নোয়াখালীর ২০০ বছর ধরে চলে আসা ইতিহাস, ঐতিহ্যকে স্মরণ করেন। এই আয়োজনকে ঘিরে তারা বেশ আনন্দিত ও উচ্ছাস প্রকাশ করেন।

Travelion – Mobile

আয়োজকরা বলেন, যুক্তরাজ্যে বেড়ে উঠা তরুণ প্রজন্মের কাছে নোয়াখালীর নাম ইতিহাস, সংস্কৃতি, গৌরব ও ঐতিহ্যের সাথে পরিচিত করিয়ে দিতে পারা আমাদের আয়োজনের অন্যতম সার্থকতা।

আয়োজক নোয়াখালী সমিতি ইউকের সভাপতি আব্দুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর, নোয়াখালী উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক আব্দুল হক রাজ, প্রধান সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির জাহাঙ্গীর, সদস্য সচিব মোহাম্মদ আখতার, এম এহোসেন নিজাম ও আলাউদ্দিন রাসেল আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে সাম্প্রতিক স্থানীয় কাউন্সিল নির্বাচনে বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের বেশ কয়েকজন নির্বাচিত কাউন্সিলর, মেয়র, মুক্তিযোদ্ধা ও কমিউনিটিতে অবদান রাখা অনেক বাংলাদেশি সংগঠকদের সম্মাননা পদকে সম্মানিত করা হয়। এছাড়াও শিশুদের চিত্রাংকন ও মেধাবী শিশুদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনা করেন বাংলাদেশ থেকে সংগীত শিল্পী ফাহমিদা নবী এবং যুক্তরাজ্যের স্থানীয় বেশ কয়েকজন শিল্পী। তার আগে ফ্যাশন ডিজাইনার শারমিন মৌয়ের পরিচালনায় বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী পোশাক নিয়ে ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়।

রাফেল ড্র ও পুরষ্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে দিনভর আয়োজনের শেষ হয়। পুরো অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন আঞ্জুমান মুন্নি ও মিনহাজ খান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!