যাত্রীবাহী উড়োজাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, অল্পের জন্য রক্ষা
মিসাইল হানার থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেল একটি যাত্রীবাহী বিমান। সিরিয়ার বিমান বাহিনী শত্রু যুদ্ধবিমান মনে করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ১৭২জন যাত্রীসহ উড়োজাহাজটিকে প্রায় ধ্বংস করেই ফেলছিল। কোনওমতে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত খেইমিম এয়ার বেসে এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করে উড়োজাহাজটি।
শুক্রবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রুশ রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা আরআইএ।
খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি যুদ্ধ বিমান মনে করে একটি এয়ারবাস এ ৩২০ যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটিকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছি সিরীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে। তবে অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রস্ট হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান যাত্রীরা।
আনুষ্ঠানিকভাবে কোন পক্ষেই উড়োজাহাজটি কোন বিমানসংস্থার তা জানায়নি। তবে ফ্লাইট রাডার থেকে প্রাপ্ত তথ্য জানা যাচ্ছে, যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি ছিল সিরিয়ার চ্যাম উইংস এয়ারলাইন্সের। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কভিত্তিক বিমানসংস্থাটি মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার কয়েকটি মুখ্য গন্তব্যে চলাচলা করে।
ফ্লাইট রাডারে লগ করা রেকর্ড আরও ইংগিত দেয় যে, ইরাকের নাজাফ থেকে উড়ার দিয়ে সিরিয়ার দামাস্কাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কাছাকাছি ছিলনিয়মিত ফ্লাইটটি। ক্ষেপান্ত্র হামলা মূখে পড়ে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার লাটাকিয়ার কাছে রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর পরিচালিত হিমিমিম এয়ার বেসে অবতরণ করতে বাধ্য হয়। এ ব্যাপারে বিমানসংস্থাটির এখনও পর্যন্ত কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত দু’টার পর ইসরায়েলের চারটি এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান সিরিয়ার আকাশ সীমায় প্রবেশ না করেই রাজধানী দামেস্কের আটটি ঘাটিঁতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ঠিক সেই সময়েই দামাস্কান এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার চেষ্টা করছিল বিমানটি।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছিলো। উত্তেজনাকর মুহূর্তে পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটিকে শত্রু বিমান ভেবেই ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স।
বলা হচ্ছে, ওই যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটিকে ঢাল বানানোর চেষ্টা করে পালিয়ে যায় ইজরায়েলের যুদ্ধবিমান। যাত্রীবাহী বিমানকে ঢাল বানানোর কাজ এর আগেও ইজরায়েল করেছে বলে অভিযোগ রাশিয়ার।