মেক্সিকান স্কুল শিক্ষার্থীরা উদযাপন করল শেখ রাসেলের জন্মদিন

মেক্সিকান স্কুল শিক্ষার্থীরা উদযাপন করলো শেখ রাসেল দিবস। নাচ-গান-গল্পবলার মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজনে তারা উদযাপন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্মবার্ষিকী।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) মেক্সিকো শহরের ফ্রান্সিসকো গোইটিয়া পাবলিক এলিমেন্টারি স্কুলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস। অনুষ্ঠানে অংশ নেয় স্কুলটির ৩৫০ মেক্সিকান শিক্ষার্থী ও ২২ শিক্ষক।

অনুষ্ঠানে স্কুল শিক্ষার্থীরা মেক্সিকোর চিয়াপাস, ওহাকা ও গেররেরো রাজ্যের তিনটি ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করে। জাতীয় সংগীতের সাথে তাদের জাতীয় পাতাকাকে সম্মান জানায়।

শেখ রাসেল দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম ।
শেখ রাসেল দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম ।

এ ছাড়া তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মেক্সিকান শিক্ষার্থী বাংলাদেশ সম্পর্কে তথ্যসমৃদ্ধ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেয়। পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণির পাঁচজন শিক্ষার্থী শেখ রাসেলের জীবনের গল্প বলে।

Travelion – Mobile

মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম স্প্যানিশ ভাষায় দেওয়া বক্তব্যে, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড, শেখ রাসেল ও দিবসটির তাৎপর্য শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরেন।

তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের অভ্যূদয় এবং বর্তমান অগ্রযাত্রার গল্পও শোনান শিক্ষার্থীদের।

‘শেখ রাসেলের জন্মদিনে শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্ব শিশুদের জন্য নিরাপদ হোক’- এ কামনা করেন আবিদা ইসলাম ।

শেখ রাসেলের জীবনের গল্প বলছে মেক্সিকান স্কুল শিক্ষার্থী। ছবি : সংগৃহীত
শেখ রাসেলের জীবনের গল্প বলছে মেক্সিকান স্কুল শিক্ষার্থী। ছবি : সংগৃহীত

ফ্রান্সিসকো গোইটিয়া পাবলিক এলমেন্টারি স্কুলের অধ্যক্ষ হেক্টর গার্সিয়া ক্যারেরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মেক্সিকান কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে বাংলাদেশের স্মারক পতাকা বিতরণ করা হয়।

এর আগে দিবসের কমসূচির শুরুতে বাংলাদেশ দূতাবাসে সকল সদস্যের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

আগের খবর : বাংলাদেশ-মেক্সিকো সাংস্কৃতিক সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক সই

পরে দিবসের আলোচনা সভার শুরুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয় এবং শেখ রাসেলের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে শিশু রাসেল-এর হত্যাকান্ডকে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম একটি শিশু হত্যাকান্ড হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আজ শেখ রাসেল জীবিত থাকলে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতাে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে অবদান রাখতে পারতেন’।

আরও পড়তে পারেন : নিউইয়র্কে আরেকটি ‘লিটল বাংলাদেশ’

শেখ রাসেল ও জাতির পিতাসহ তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং দেশ ও জাতির অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

আরও খবর :
শেখ রাসেলের জন্মদিনে ইথিওপিয়ান স্কুল শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন
মিশরে শেখ রাসেল দিবসে উদযাপন
চীনে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন
কুয়েতে বাংলাদেশি শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
গ্রিসে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন
মালদ্বীপে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!