মিশরে বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

মিশরে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশেমহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে দূতাবাস দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে।

২১ ফেব্রুয়ারি সকালে কর্মকর্তা কর্মচারীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করা হয় এবং দূতাবাসে নির্মিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এ সময় ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অতপর অমর ভাষা শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শুনানো হয়।

Travelion – Mobile

রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম, বক্তব্যের শুরুতেই ভাষা শহিদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্যের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তাঁর বক্তৃতায়

মিশরে বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাংষ্কৃতিক দলের পরিবেশনা।
মিশরে বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাংষ্কৃতিক দলের পরিবেশনা।

তিনি একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে গড়ার কাজে প্রত্যেককে তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বাত্মক আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এবং উক্ত মন্ত্রণালয়ের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত বারো সদস্যের একটি নৃত্য প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদল ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি নৃত্য পরিবেশন করেন, যা দর্শকদের বিমুগ্ধ করে রাখে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যেমন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষার জন্য বাঙ্গালীদের আত্মত্যাগ আজ বিশ^বাসীর কাছে স্বীকৃত ও সম্মানিত হয়েছে। যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পৃথিবীর প্রত্যেকটি মাতৃভাষাকে সম্মানিত করা হয়েছে।

৫। অনুষ্ঠানে কায়রোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশী অধ্যাপক, শিক্ষার্থী, কর্মজীবী এবং বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলকে রাতের খাবারে আপ্যায়ন করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!