মিশরে আরবি ভাষায় বাংলাদেশি কবিতা সংকলন প্রকাশ

বাংলাদেশি কবি ড. কামাল চৌধুরীর লেখা ১২৫টি আধুনিক কবিতার একটি সংকলন মিশরের বিখ্যাত কায়ান পাবলিশিং হাউস থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা ভাষায় প্রকাশিত কবিতাগুলো এর আগে প্যারিস থেকে একজন বিখ্যাত ফিলিস্তিনি পণ্ডিত আরবি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন।

মিশরের কায়রোতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি কবি আরব বিশ্ব থেকে আরবি ভাষায় তার কবিতা প্রকাশ করলেন।

দেশটির নতুন রাজধানী নিউ কায়রোর আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্রে (EIEC) আন্তর্জাতিক বই মেলার ১ নম্বর স্টলের এ-২৯ – এই ড. কামাল চৌধুরীর বইটি পাওয়া যাবে।

Travelion – Mobile

কবি কামাল চৌধুরীর কবিতার বইটির প্রচ্ছদে পাখির চোখে দেখা বাংলাদেশের নদীতে ভাসমান এক ঝাঁক নৌকার দৃশ্য বাংলাদেশের কবি ও কবিতার স্বকীয়তাকে প্রকাশ করেছে।

বইটির ভূমিকায় প্রকাশনা সংস্থা লিখেছে, সর্বার্থে বাংলা আধুনিক কবিতার কবি হিসেবে স্বীকৃত বাংলাদেশের কবি কামাল চৌধুরী তার অভিজ্ঞতাকে প্রশংসনীয় কবিতায় পরিণত করেছেন। কবির শব্দভাণ্ডারের কারুকাজ, কল্পনার কৌশলী ব্যবহার এবং ছন্দের সূক্ষ্ম অনুভূতি নির্বাচিত কবিতাসমূহকে মনোমুগ্ধকর পাঠে পরিণত করেছে। আশা করা যাচ্ছে , আরব বিশ্বের বিপুল সংখ্যক পাঠকের কাছে বাংলা কবিতাকে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এ গ্রন্থটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

মিশরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম কায়রো আন্তর্জাতিক বই মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শনকালে প্রকাশকরা ড. কামাল চৌধুরীর ‘কাসায়েদের মুখতারা’ বইটির কপি উপহার দেন।

মিশরে আরবি ভাষায় প্রকাশিত বাংলাদেশি কবিতা সংকলন হাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম।
মিশরে আরবি ভাষায় প্রকাশিত বাংলাদেশি কবিতা সংকলন হাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম।

রাষ্টদূত, জেনারেল বুক অথরিটির প্রধান ড. হাইথাম এল-হাগের সঙ্গেও দেখা করেন এবং ভবিষ্যতে বইমেলায় আরও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।

রাষ্ট্রপতি আবদেল-ফাত্তাহ এল-সিসির পৃষ্ঠপোষকতায় ৫৩তম কায়রো আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ড. মোস্তফা মাদবৌলি। এসময় উপস্থিত ছিলেন- দেশটির সংস্কৃতিমন্ত্রী ড. ইনাস আবদেল দায়েম, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, মিশরের সামরিক ও বেসামরিক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা ছাড়াও বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকরা।

৮৭৯টি প্যাভিলিয়নসহ ৫টি প্রদর্শনী হলো সমন্বিত ৮০ হাজার বর্গমিটার এলাকা নিয়ে অনুষ্ঠিত বইমেলায়, বাংলাদেশ, মিশর, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, জাপান, ভারত, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন, স্পেন, ইতালি ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের ৫১টি দেশ থেকে মোট ১০৬০ জন প্রকাশক অংশ নিয়েছেন।

অতিথি হিসেবে রয়েছে গ্রিস, বেলজিয়াম, সুইডেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রদর্শনীর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বইয়ের একটি ডিজিটালাইজড অনলাইন বিক্রয় চালু করা হচ্ছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!