মালয়েশিয়া খুলছে বাংলাদেশের শ্রমবাজার
এ মাসে ঢাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
মালয়েশিয়া বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার। তবে, গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর অনলাইন পদ্ধতি এসপিপিএ বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় তৎকালীন প্রবাসী ও বৈদেশিক কল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি মালয়েশিয়া গিয়ে বৈঠক করলেও শ্রমবাজার চালু করা সম্ভব হয়নি।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান প্রচেষ্টার পর অবশেষে খুলতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার। বন্ধ এ শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে একমত হয়েছে উভয় দেশ। এর অংশ হিসেবে চলতি মাসেই ঢাকায় আসছে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দল। ডিসেম্বরেই দেশটিতে কর্মী পাঠাতে আগ্রহী বাংলাদেশ।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে মালয়েশিয়ায় দেশটির প্রশাসনিক কেন্দ্রস্থল পুত্রজায়ায় সংসদ ভবনে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানা গেছে।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারানের এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের বৈঠকে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
বৈঠকে মন্ত্রীর সাথে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, যুগ্ম-সচিব ফজলুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মো. আজিজুর রহমান, বিএমইটির পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, হাইকমিশনার মুহ. শহীদুল ইসলাম এবং কাউন্সিলর (শ্রম) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
দুই দেশের প্রতিনিধি দলের এ বৈঠকে শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই দেশটিতে কর্মী পাঠাতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এছাড়া বৈঠকে কর্মীদের অভিবাসন ব্যয় কমানো এবং কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা গেছে, শ্রমিক নেওয়া বিষয়ে চলতি মাসের ১১ তারিখ মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতাদের সাথে বৈঠক করবেন দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারান। এর আগে, গত বছরের ৩১ অক্টোবর ঢাকায় দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে নতুন করে কর্মী নেয়ার কিছু পদ্ধতি ঠিক হয়।
চলতি বছরের ১৪ মে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী (তখন প্রতিমন্ত্রী) ইমরান আহমদ মালয়েশিয়া সফরে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানশ্রি মুহিউদ্দিন ইয়াসিন ও মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারানের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের অগ্রগতি হিসেবে ২৯ ও ৩০ মে মালয়েশিয়ায় দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।