মালয়েশিয়ায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বাংলাদেশ হাইকমিশন

মালয়েশিয়ায় যথাযথ মর্যাদায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া সরকারের দেয়া বিধি-নিষেধের কারণে অনুষ্ঠানে শুধু দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) কুয়ালালামপুরে হাইকমিশন প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার। এরপরে তিনি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর দূতাবাসের হলরুমে আয়োজিত দিবসের আলোচনা সভা শুরুতে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। হাই কমিশনারের সভাপতিত্বে এবং দূতালয় প্রধান ও প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রুহুল অমিনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমোডোর মোস্তাক আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন শ্রম কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন, শ্রম কাউন্সিলর (২) মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার কাউন্সিলর মো. মশিউর রহমান তালুকদার।

Travelion – Mobile

হাই কমিশনার গোলাম সারওয়ার তার বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ, সম্ভম হারানো দুই লক্ষ মা-বোন এবং সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান হাইকমিশনার।

তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে মালয়েশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক অনন্য উচ্ছতায় পৌঁছেছে। এ সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনে এক সঙ্গে কাজ করার অনুরোধ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বক্তব্য ও ৭১-এ বাংলাদেশের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সব শেষে বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে কেক কাটেন হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার।

ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ এ খাস্তগীর, কাউন্সিলর (কন্স্যুলার) মো. মাসুদ হোসাইন, কাউন্সিলর (বাণিজ্যিক) মো. রাজিবুল আহসান, শ্রম শাখার প্রথম সচিব ফরিদ আহমদসহ দূতাবাসের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!