মালয়েশিয়ায় সাংস্কৃতিক উৎসবে পোশাক ক্যাটাগরিতে প্রথম বাংলাদেশ
মালয়েশিয়ায় সেগি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক উৎসবে পোশাক ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। এ অর্জনে বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রশংসায় ভাসছেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানী কুয়ালালামপুরের কোটাদামানসারা সেগি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত উৎসবে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, ভারত, শ্রীলংকা,সুদান,পাকিস্তান, মিশর, মোজাম্বিকসহ ২০ টি দেশের শিক্ষার্থীদরা অংশ নেয়।
দেশের শিক্ষার্থীদের পতাকা উত্তোলন,দেশীয় পোশাক ও সংস্কৃতির ফ্যাশন শো এবং নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে উৎসবে তাদের দেশকে তুলে ধরে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অনবদ্য পরিবেশনার মাধ্যমে আবহমান বাংলার চিত্রও ও জীবনযাত্রা তুলে ধরেন, যা মন কাড়ে দর্শক ও বিচারকদের। এ সময় দর্শক গ্যালারি থেকে ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো হল। বিচারকদের রায় প্রথম হয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাম্বাসেডর তাবাসসুম মোস্তফা অথৈয়ের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সেগি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. অজরিন ইসমাদি বিন অরিফিন।
অনুষ্ঠান দেখেন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের কুটনীতিক, শিক্ষক,ব্যবসায়ী, শিল্পীসহ মালয়েশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা।
অনুভূতি জানাতে গিয়ে তাবাসসুম মোস্তফা অথৈ বলেন,‘বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি নিয়ে দেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ প্রাপ্তি তারই ফসল। তুলে সত্যি ভালো অনেক লাগছে। গর্ববোধ করছি।’
‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ গড়তে হলে শিক্ষার্থীদের পাশে হাইকমিশনসহ কমিউনিটি ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের পাশে থাকলে অবশ্যই আমরা সবগুলো ইভেন্টেই ভালো করতে পারবো’,অথৈই বলেন।
সেগি ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট সোসাইটির প্রেসিডেন্ট আম্বার আহমেদ বলেন,’এ অর্জনে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের পরিচিতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ভিনদেশি শিক্ষার্থীদেরও জানার আগ্রহ বেড়েছে’।
বাংলাদেশ দুতাবাসের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) ফারহানা আহমেদ চৌধূরী বলেন,”বর্হিবিশ্বে, শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশকে ব্রান্ডিং করছে এটাই আমাদের স্বার্থকতা। এ অর্জনে প্রবাসে নিজেকে ধন্য মনে করছি।”
“বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভালো আয়োজনে হাইকমিশন অবশ্যই পাশে থাকবে”, তিনি যোগ করেন।