মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস পালন
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে ৫১তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। শনিবার (২৬ মার্চ) সকালে কুয়ালালামপুরে হাইকমিশন প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিবসের কর্মষূচি শুরু করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ার।
এ উপলক্ষে হাইকমিশনের হলরুমে স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনার শুরুতে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন ও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও ৭১-এ বাংলাদেশের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) রুহুল আমিনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমোডর মোস্তাক আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর (বাণিজ্যিক) মো. রাজিবুল আহসান, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব (শ্রম) এসএম জাহিদুর রহমান ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) রেহেনা পারভীন।
হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার প্রবাসীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার মাধ্যমেই অর্জিত হতে পারে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। আর আমাদের সামনে দিনবদলের হাতছানি নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার। দেশের মানুষ আজ বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষায় উজ্জীবিত।
তিনি আরো বলেন, অর্থনীতির আকারে বর্তমান বিশ্বে ৪০তম বাংলাদেশ। এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। বিশ্বব্যাংক থেকে স্বীকৃতি মিলেছে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার। এসব অর্জন বাংলাদেশের সক্ষমতার পাশাপাশি মর্যাদাও বাড়িয়েছে।
গোলাম সারোয়ার বলেন, বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরে কূটনৈতিক সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। এ সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আলোচনায় ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ এ খাস্তগীর, মিনিস্টার (শ্রম) নাজমুস সাদাত সেলিম, কাউন্সেলর কন্স্যুলার জি এম রাসেল রানাসহ দূতাবাসের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাশাপাশি প্রবাসী কমিউনিটি ও মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।