মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি খাবার ও পণ্যের নতুন মাত্রা

মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় খাদ্য ও পানীয় পণ্য বিভাগে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের জন্য একেবারে নতুন। এ ছাড়াও বাংলাদেশি খাবারের রন্ধন প্রক্রিয়া এবং খাবার সম্পর্কে বৈজ্ঞানিকভাবে তুলে ধরাও এই প্রথম। আর প্রথমবারেই বাজিমাত করলো বাংলাদেশের ঐতিহ্যে খাবার আর খাদ্যপণ্য।

রাজধানী কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ‘৮ম সেলাঙ্গর ফুড এন্ড বেভারেজ এক্সপো’তে বাংলাদেশি খাবার ও পণ্যের প্রতি মালয়েশিয়ানসহ বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক, ব্যবসায়ী, প্রবাসীসহ সাধারণ দর্শনার্থীদের আগ্রহ থেকে এমনটি জানিয়েছেন অংশ নেওয়া উচ্ছাসিত বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা।

রোববার (৯ অক্টোবর) কেএলসিসি কনভেনশন সেন্টারে সেলাঙ্গ রাজ্য সরকার আয়োজিত ৪ দিনের মেলা শেষ হয়। প্রতিদিনই বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে মালয়েশিয়ানসহ বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক, শিল্পোদ্যোক্তা, প্রবাসীসহ সাধারণ দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। অনেকে কিনেছেন প্রাণ ও মুন্নু সিরামিক পণ্য, কেউ জেনে নিয়েছেন প্রয়োজনীয় তথ্য, ব্যবসায়ীরা দেখিয়েছেন আমাদানির আগ্রহ,অনেকে দিয়েছেন অর্ডারও। সে সঙ্গে বাঙালির ঐতিহ্যের খাবারেরও স্বাদ পেয়েছেন দর্শনার্থীরা।

 কুয়ালালামপুরে বাণিজ্য মেলার শেষ দিনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়
কুয়ালালামপুরে বাণিজ্য মেলার শেষ দিনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

মেলায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড প্রাণ-এর সাপ্লাই চেইন এন্ড প্রোডাক্ট ডেভেলাপমেন্ট ম্যানেজার মোহাম্মদ আকুল আলী আবির জানান,”৪ দিনের মেলায় বিভিন্ন দেশের প্রায় আড়াই’শ ব্যবসায়ী-আমদানিকারক বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের প্রাণের স্টলে এসেছেন। তাদের মধ্য থেকে কয়েকটি অর্ডারও পাওয়া গেছে’।

Travelion – Mobile

তিনি বলেন,’ক্রেতাদের আগ্রহ দেখে আগামীতে বড় পরিসরে অংশ নিবে প্রাণ।’

মুন্নু মালয়েশিয়া র সিইও মাহবুব আলম শাহ জানান, বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে অংশ নিয়ে বিশ্ববাজারে মুন্নু সিরামিক আবার নতুন করে পরিচিতি পেলো। মেলায় ৪ দিনই দর্শনার্থীরা বাংলাদেশি সিরামিক পণ্য দেখেছেন, কিনেছেন এবং প্রশংসা করেছেন। মেলায় বড় তিনটি অর্ডার পাওয়া গেছে’।

বহুজাতিক ও বহু দেশের পর্যটকের দেশ মালয়েশিয়ায় ইউরোপিয়ান, আমেরিকান, চাইনিজ, আরবিয়ান এবং এশিয়ান খাবারের ভিড়ে বাংলাদেশের খাবার ও খাদ্যপণ্যে তুলে ধরা অনেক কঠিন ছিল। কিন্তু রন্ধনশিল্প গবেষক দিল আফরোজ নাহার এবং শিক্ষার্থী বৃষ্টি খাতুনের অন্যবদ্য ডেমোনেস্ট্রেশনের মুন্সীয়ানায় সেই চ্যালেঞ্জ উতরে যায় সহজে।

বাংলাদেশের সফলতা নিয়ে কথা বলছেন, হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার ও  প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ,মুন্নু সিরামিকের মালয়েশিয়া  সিইও মাহবুব আলম শাহ, প্রাণের ম্যানেজার মোহাম্মদ আকুল আলী আবির।
বাংলাদেশের সফলতা নিয়ে কথা বলছেন, হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার ও প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ,মুন্নু সিরামিকের মালয়েশিয়া সিইও মাহবুব আলম শাহ, প্রাণের ম্যানেজার মোহাম্মদ আকুল আলী আবির।

তারা মেলার ডেমোনেস্ট্রেশন মঞ্চে অসংখ্য বিদেশি অভিজ্ঞ শেফ, রন্ধনশিল্পী ও খাদ্য বিশেষজ্ঞদের সামনে বাংলাদেশি খাবারের স্বাদ-মান-গুনাগুন তুলে ধরেন আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় । প্যাভিলিয়নেও আসা দর্শনার্থীরাও তাদের রান্না করা তাজা খাবারের স্বাদ নিয়েছেন। জানিয়েছেন ভাল লাগার কথা, করেছেন স্বাদের প্রশংসা।

মেলায় অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে আসেন মালয়েশিয়ায় ফুড নিয়ে অধ্যায়ন করা দিল আফরোজ নাহার। বাংলাদেশি খাবেরের উপস্থাপনা ও চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন,’খাবার অন্য পণের মত নয়-খাবার সরাসরি মানুষের দেহ ও মনে প্রতিক্রিয়া করে এবং তা খুব দ্রুত হয়। জিহ্বাই মূহুর্তেই ভালো-মন্দের বার্তা দেয়। তাই স্বাদ ও খাবারের প্রতি ভিনদেশিদের মানসিকতা বুঝে খাবার তৈরি করা খুবই চ্যালেঞ্জ।

‘ভারতের সঙ্গে আমাদের খাবারের প্রচুর মিল এবং ফুডের দিক থেকে ভারত অনেক আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত। সেখানে বাংলাদেশি ফুড তুলে ধরা খুবই কঠিন ছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা সফল হতে পেরেছি’, তিনি যোগ করেন।।

বাংলাদেশের সফলতা নিয়ে কথা বলছেন, রন্ধন বিশেষজ্ঞ দিল আফরোজ নাহার, কুলিনারি শিক্ষার্থী বৃষ্টি খাতুন ও ইদ্রিছ মোহাম্মদ অপে।
বাংলাদেশের সফলতা নিয়ে কথা বলছেন, রন্ধন বিশেষজ্ঞ দিল আফরোজ নাহার, কুলিনারি শিক্ষার্থী বৃষ্টি খাতুন ও ইদ্রিছ মোহাম্মদ অপে।

মালয়েশিয়ার সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কুলিনারির (রন্ধনশিল্প) বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বৃষ্টি খাতুন বলেন,’তেল মশলায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশি খাবার ভিন দেশের ও সংস্কৃতির মানুষের জন্যও সুস্বাধু, স্বাস্থ্যকর পুষ্টিসমৃদ্ধ সে দিকে ফােকাল ছিল আমাদের। সে ক্ষেত্রে আমরা সফল, ভাল সাড়া পেয়েছি। মালয়েশিয়ানসহ খাবারের স্বাদ যারা নিয়েছেন তারা সবাই প্রশংসা করেছেন’।

নাহার ও বৃষ্টিকে সহায়তা করেছেন সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কুলিনারি বিভাগের শেষবর্ষের শিক্ষার্থী আমেরিকান নাগরিক ইদ্রিছ মোহাম্মদ অপে। ইদ্রিছ জানান, বাংলাদেশের খাবার তার খুব প্রিয়। তাই গ্যস্ট্রোনমি সেগমেন্টে তিনি উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশকে। লেখাপড়া শেষ করে ইচ্ছে আছে বাংলাদেশ ভ্রমনের ।

মেলায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশি খাবারের রেস্তোরাঁ ব্যাচেলর পয়েন্টের কর্ণধার মো. কামরুল বলেন, এ ধরনের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি খাবার সম্পর্কে উপস্থাপনা নিঃসন্দেহে খুব ভালো। বাংলাদেশ হাইকমিশন আমাদের নির্বাচিত করায় সুযোগটা আমরা পেয়েছি এবং অনেকটা সফল।

‘মালয়েশিয়ানসহ বিদেশিরা অনেক আগ্রহ দেখিয়েছে। বিশেষ করে ফুড ডেমো করার পর তাদের আগ্রহ অনেক বেড়ে যায়। আমাদেরও উৎসাহ বেড়েছে,আগামীতে আরো ব্যাপকভাবে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা জেগেছে’, বলেন আলো ছায়ার কর্ণধার রাসেল।

বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার। এ সময় সঙ্গে ছিলেন, তাঁর সহধর্মিনী তাসলিমা সারোয়ার এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার। এ সময় সঙ্গে ছিলেন, তাঁর সহধর্মিনী তাসলিমা সারোয়ার এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।

৩য় দিনে মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন ঘুরতে এসে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতি বিদেশিদের আগ্রহ দেখে বেশ উচ্ছাসিত হন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার এবং তাঁর সহধর্মিনী তাসলিমা সারোয়ার।

এসময় হাইকমিশনার প্রবাসী সাংবাদিকদের বলেন, মালয়েশিয়ার যেকোন মেলায় অংশগ্রহণে আমাদের আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশি পণ্যের আরও ব্যাপক প্রচার ও প্রসারে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে একক মেলারও আয়োজন করা হবে’।

এ নিয়ে বেশ উচ্ছাসিত মেলায় আসা প্রবাসী বাংলাদেশি সৈয়দ মাওলা। বলেন, এ মেলার মাধ্যমে বৃষ্টি, নাহার ও ইদ্রিছরা জানান দিয়ছেন, বাংলাদেশি খাবার বিশ্ব মান ও স্বাদের এবং স্বাস্থ্যেকর। আশা করি আমাদের খাবার খাদ্যপণ্যের প্রতি অন্যদেশের প্রবাসী আর মালয়েশিয়ানরা ঝুঁকবে।

আসিয়ানের প্রবেশদ্বার মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের খাদ্যপণ্য ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের ব্র্যান্ডিং করা খুব সহজ নয় বলে মনে করে মেলা দেখতে আসা সানওয়ে বিশেবিদ্যালয়ের বাংলাদেশি গবেষক অধ্যাপক সাইদুর রহমান।

তিনি বলেন,’মালয়েশিয়ায় ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খুব ভালো মানের রেষ্টুরেন্ট এবং খাবার পাওয়া যায়। যেমন নর্থ আমেরিকান, ইউরোপিয়ান, আরাবিয়ান, চাইনিজ, থাই, ভারতীয় খাবার বেশ জনপ্রিয়। সে জায়গায় বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে। তাই বাংলাদেশি খাবারকে তুলে ধরা, বাজার নেওয়া খুব সহজ নয়।’

মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক খাদ্যপণ্য ও পানীয় মেলার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থীরা।
মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক খাদ্যপণ্য ও পানীয় মেলার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থীরা।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি রেষ্টুরেন্টগুলোর প্রতি স্থানীয়সহ বিদেশিদের আকর্ষণ কম উল্লেখ করে কমিউনিটি নেতা রাশেদ বাদল বলেন, ‘বিদেশিদের বরাবরেই আকর্ষণ হাইজেনিক ও গুণাগুণ সমৃদ্ধ খাবার আর উন্নত পরিবেশনা।

‘বাংলাদেশি খাবার সর্ম্পকে তাদের ধারণা যেমন নেই, তেমনি রেস্টুরেন্টগুলোর পরিবেশ-পরিবেশনাও তাদের তেমন আকর্ষণ করতে পারে না। কাজেই আমাদের খাবার আন্তর্জাতিক হয়ে উঠেনি’, তিনি যোগ করেন।

তাদের দুইজনেরই অভিমত,এবারের মেলার যেভাবে বাংলাদেশি খাবারকে তুলে ধরা হয়েছে, আগ্রহ জাগানাে গেছে- আরও ইভেন্টে অংশ নিয়ে তার ধারাবাহিকতা রাখা গেলে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি খাবার ও খাদ্যপণ্য ভালো অবস্থান নিঃসন্দেহে আশা করা যায়।

আরও পড়তে পারেন : মালয়েশিয়ায় ডিসেম্বরে ‘শোকেস বাংলাদেশ’

এক্ষেত্রে ভাল মানের বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ এবং বাংলাদেশি পণ্যের প্রচার-প্রচারণা উপরও জোর দিয়েছেন তারা।

মেলায় বাংলাদেশি খাবারের ডেমোনেস্ট্রেশন ও গ্যস্ট্রোনমি মাস্টার ক্লাশ করছেন দিল আফরোজ নাহার ও বৃষ্টি খাতুন।
মেলায় বাংলাদেশি খাবারের ডেমোনেস্ট্রেশন ও গ্যস্ট্রোনমি মাস্টার ক্লাশ করছেন দিল আফরোজ নাহার ও বৃষ্টি খাতুন।

এবারের মেলার পেছনে অন্যতম নিয়ামক শক্তি ছিল বাংলাদেশ হাইকমিশনে সদ্য যোগ দেওয়া বাণিজ্য উইংয়ের প্রথম সচিব প্রণব কুমার ঘোষ। তিনি বলেন, ‘খুব কম সময়ে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। পুরাটাই একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। বৃষ্টি, নাহার ও ইদ্রিছের অন্যবদ্য উপস্থাপনায় আমরা বাংলাদেশি খাবারের প্রতি বিদেশিদের আগ্রহ আনতে পেরেছি। তাছাড়াও মুন্নু সিরামিক সাড়া ফেলেছে এবং প্রাণতো আছেই’।

‘আগামী মেলায় তথ্যপ্রযুক্তির সমন্বয় করে আরো উচ্চমাত্রায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ থাকবে। পাশাপাশি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি খাবারের রেস্তোরাঁগুলোর মানোন্নয়নে আমরা কাজ করব, যোগ করেন প্রণব ঘোষ।

বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও বিএমসিসিআইয়ের কর্মকর্তারাসহ অংশগ্রহণকারীরা।
বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও বিএমসিসিআইয়ের কর্মকর্তারাসহ অংশগ্রহণকারীরা।

আশার কথা হলো, এরই মধ্যে কুয়ালালামপুরে উন্নতমানের রেস্তোরাঁ করেছে ব্যাচেলর পয়েন্ট ও আলো ছায়া। তাদের রেস্তারাঁর চমৎকার অঙ্গসজ্জার, খাবারের মান-স্বাদ আর পরিবেশনা বিদেশিদেরকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম। মেলার সফলতায় বিদেশি গ্রাহকদের ফোকাল করে কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণে পরিকল্পনার কথা জানান দুই কর্ণধার।

‘বাঙালীর হাজার বছরের আতিথিয়েতার ঐতিহ্য, খাবার ছাড়া নয়। এর চমৎকার বন্ধুত্বের শক্তি আছে, যা হৃদয়কে বেঁধে ফেলে। যেন ‘ফুড টু হার্ট’। তাই সেই আতিথিয়েতা ও খাবার ঐতিহ্যকে দিয়েই বিশ্বকে বন্ধু করে তুলবার সুযােগ আছে আমাদের’, বলেছেন দিল আফরোজ নাহার।

আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে যোগ দিতে চাইলে এখানে ক্লিক করার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!