মালয়েশিয়ায় কুয়ালালামপুরের কেএলসিসি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত আন্তর্জাতিক খাদ্যপণ্য ও পানীয় মেলার ৩য় দিনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আমদানিককারক, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। দর্শনার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশিসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের অনেক প্রবাসীরাও ছিলেন।
পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি ডেমোনেস্ট্রেশনের মাধ্যমে রান্না করা খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা থাকায় বাংলাদেশি খাবারের স্বাদে নেওয়ারও সুযোগ পাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। খাবারের প্রশংসা করতে দেখা যাচ্ছে কমবেশি সবাইকে।
পাশাপাশি বাংলাদেশি খাদ্যপণ্য ও সিরামিক টেবিলওয়্যারের প্রতি অনেকে দর্শনার্থী বিশেষ করে মালয়েশিয়ান আমদানিকারকদের আগ্রহ দেখা গেছে। এ নিয়ে তারা প্যাভিলয়নে দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন ।
দেশীয় রেস্তোরাঁ ব্যাচেলর পয়েন্ট, পিঠা ঘর ও আলোছায়ার ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং প্রাণ ও মুন্নু সিরামিকের পণ্য প্রদর্শন হচ্ছে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে।
মুন্নু সিরামিক ও প্রাণের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেন, শুরু দিন থেকেই মেলায় ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ৩য় দিনে দর্শনার্থীর ভিড়টা বেশি ছিল। বাংলাদেশি পণ্যের প্রতি আগ্রহটা দেখে আমাদেরও উৎসাহটাও অনেক বেড়ে গেছে।
আরও পড়তে পারেন : মালয়েশিয়ায় ডিসেম্বরে ‘শোকেস বাংলাদেশ’
৩য় দিনে মেলায় এসে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: গোলাম সারোয়ার। এ সময় সঙ্গে ছিলেন, তার সহধর্মিনী তাসলিমা সারোয়ার, হাইকমিশনের দূতালয় প্রধান কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মো. রুহুল আমিন, কাউন্সেলর কন্স্যুলার জিএম রাসেল রানা, প্রধম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ।
পরে প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হাইকমিশনার মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, বাংলাদেশি পণ্যের প্রতি সবার যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, তাতে করে আগামীতে মালয়েশিয়ার যেকোন মেলায় অংশগ্রহণে আমাদের আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে।
‘আগামীতে বাংলাদেশি পণ্যের আরও ব্যাপক প্রচার ও প্রসারে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে একক মেলার আয়োজন করা হবে’, তিনি যোগ করেন।
গোলাম সারোয়ার প্রত্যাশা করেন, এ আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ-মালেশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক আরও বাড়বে। এ ছাড়া মেলায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও নতুন সর্ম্পক গড়ার সুযোগ হবে।
আরও পড়তে পারেন : মালয়েশিয়ায় পাওয়া গেল অপহৃত বাংলাদেশি সোহেলের মরদেহ
হাইকমিশনারের পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ছিলেন, বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের (বিএমসিসিআই) পরিচালক মাহবুব আলম শাহ, প্রাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (আন্তর্জাতিক) হাসান মাহমুদ ও প্রোডাক্ট ম্যানেজার মোহাম্মদ আকুল আলী আবির, কমিউনিটি নেতা রাশেদ বাদল, ইউএসবাংলার কান্ট্রি ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম, মুন্নু সিরামিকের কর্পোরেট অফিসার খন্দকার ফয়েজ আহমেদ।
আরও পড়তে পারেন : মালদ্বীপে বাণিজ্য মেলায় প্রবাসী বাংলাদেশির প্রতিষ্ঠান
মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ৬ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ৪ দিনের’সেলাঙ্গর ৮ম আন্তর্জাতিক এক্সপো-২০২২’রোববার সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হচ্ছে।
আয়োজক আশা করছে, প্রায় ৩০,০০০ বিনিয়োগকারী এবারের মেলা পরিদর্শন করবে। সে সঙ্গে করোনা মহামারির পর এই মেলা দিয়ে ১০ বিলিয়ন রিঙ্গিত অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ লক্ষ্য অর্জন করার প্রত্যাশার কথা জানান আয়োজক সেলাঙ্গর রাজ্য সরকার।
আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে যোগ দিতে চাইলে এখানে ক্লিক করার অনুরোধ