মালয়েশিয়ায় ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

মালয়েশিয়ায় ফাঁসির দণ্ড থেকে রেহাই পেলেন বাংলাদেশি এক শিক্ষার্থী। জানা গেছে, ৪ বছর আগে ৩ কেজি ৮৭৫ গ্রাম গাঁজা পাচারের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি।

ওই সময় তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন মালয়েশিয়ার আদালত। বৃহস্পতিবার আপিল আদালতে সে দণ্ড থেকে খালাস পেলেন সেখানকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ হাবিবুল হাসান খান (২৬ )।

আপিল আদালতের বিচারপতি দাতুক হানিফাহ ফারিকুল্লাহর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের প্যানেল রায় দিয়েছেন, বাংলাদেশি হাবিবুল হাসান খানের আপিলের পক্ষে যুক্তি আছে। প্রসিকিউশন তার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করতে পারেনি।

Travelion – Mobile

বিচারপতি হানিফাহ তার রায়ে বলেছেন, ‘যদিও হোস্টেলে হাবিবুল হাসান খানের কক্ষে মাদকের ব্যাগ পাওয়া গেছে। তবে হাবিবুল আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, ব্যাগটি জাওয়াদ নামে অন্য এক ছাত্রের।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকা ওই ছাত্র (জাওয়াদ) আপিলকারী (হাবিবুল) ব্যাগসহ ধরা পড়ার এক দিন পর আত্মহত্যা করেন। কিন্তু শুনানির সময় বিচারক তা আমলে না নিয়ে ঘটনাটিকে একপ্রকার অস্বীকার করেছেন।’

বিচারপতি হানিফাহ আরও বলেন, ‘শুনানির সময় বিচারক কিছু ভুল করেছেন।’

স্বীকারোক্তি নেওয়ার বিষয় নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। হাবিবুল সত্যিই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন কি না, বিচারক তা মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হওয়ায় একটি ভুল নির্দেশনা ছিল বলেও উল্লেখ করেন বিচারপতি হানিফাহ।

উল্লেখ্য, হাবিবুল হাসান খান মালয়েশিয়ার সেমেনিহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল কক্ষে থাকতেন। ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর মাদক পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল শাহ হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ডের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন তিনি।

তার বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার ১৯৫২ সালের বিপজ্জনক মাদক আইনের সেকশন ৩৯বি (১) ধারায় অভিযোগ ছিল। যা প্রমাণ হলেই মৃত্যুদণ্ড অবধারিত। সব বিচার বিবেচনা শেষে হাবিবুলকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!