মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন

মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানী মালেতে হাইকমিশন ভবনে ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।

মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসানের সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবসের ওয়েবিনারের প্রধান অতিথি ছিলেন মালদ্বীপের পররাষ্ট্র সচিব আব্দুল গফুর মুহামেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রদূত, জাপানের রাষ্ট্রদূত ও চীনা রাষ্ট্রদূত।

উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে আমন্ত্রিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ হতে বক্তব্য রাখেন ডক্টর জেবা-উন- নাহার, মালদ্বীপ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাইমেন। এছাড়া মালদ্বীপের হাইকমিশনার এট লার্জ আহমেদ সালিমও বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠের পর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

Travelion – Mobile

স্বাগত বক্তব্যে হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, শাসক গোষ্ঠীর সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির উদ্দেশ্যে যে অবিস্মরণীয় ভাষণ দিয়েছিলেন, মূলত সেটি ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। বঙ্গবন্ধুর এই বলিষ্ঠ ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, এ ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব বিখ্যাত নিউজ উইক ম্যাগাজিন ১৯৭১ সালের ৫ই এপ্রিল সংখ্যায় বঙ্গবন্ধুকে “পোয়েট অফ পলিটিক্স” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের কালজয়ী ভাষণ কেবলমাত্র বাঙালি জাতি নয়, বরং সমগ্র বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী আপামর জনতার জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

৭ই মার্চের ভাষণের উপর মূল প্রবন্ধে দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. সোহেল পারভেজ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মুক্তিকামী জনগণকে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে ওই ভাষণ মহামন্ত্র হিসেবে কাজ করেছে। একটি ভাষণ কিভাবে সমগ্র জাতিকে জাগিয়ে তোলে, একতাবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করে বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষন তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করে ইউনেস্কো ২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবর এই ভাষণকে ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ-এর মর্যাদা দিয়ে ইন্টার্ন্যাশনাল মেমোরি অফ দা ওয়ার্ল্ডে অন্তর্ভুক্ত করেছে । জাতি হিসেবে বাংলাদেশিদের জন্য এটা একটা বিরাট সম্মানের বিষয়।

https://www.facebook.com/BangladeshMissionInMaldives/videos/1327791267606833

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!