প্রবাসীদের সহায়তা ও আর্তমানবতার সেবার জন্য ইয়ং স্টার প্রবাসী কল্যাণ সংঘের সভাপতি মরিশাসপ্রবাসী মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানকে সম্মাননা সনদ প্রদান করেছে মরিশাসে বাংলাদেশ হাই কমিশন।
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে রাজধানী পোর্ট লুইসে হাইকমিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ সম্মাননা সনদ তুলে দেন মোহাম্মদ হাফিজকে। এ সময় দূতালয় প্রধান ও কাউন্সিলর (শ্রম) মো. অহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) মো. আনিসুর রহমান এবং কমিউনিটি নেতা ও প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
হাইকমিশনার বলেন, প্রবাসে সংগ্রামী জীবনের মধ্যেও মোহাম্মদ হাফিজ তাঁর পেশার বাইরে সামাজিক ও শ্রম কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন এবং প্রবাসীদের বিপদে-আপদে সহায়তা দিয়ে আসছেন। বিশেষ করে দুস্থ ও অসহায় শ্রমিকরা সমস্যায় পড়লে আন্তরিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করেন তিনি। অসুস্থ অসহায় প্রবাসীর খবর পেলে তিনি নিজেই এগিয়ে যান। বড় সমস্যা হলে হাইকমিশনকে জানান। এছাড়া নানা কাজে হাইকমিশনকেও সহযোগিতা করে থাকেন তিনি। এটা সবার জন্য দৃষ্টান্তমূলক। সে কারণে আমরা মোহাম্মদ হাফিজকে সম্মাননা প্রদান করেছি। আমাদের প্রত্যাশা তার সাথে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবেন।
অনুভুতি জানাতে গিয়ে মোহাম্মদ হাফিজ হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নিজের বিবেকের তাড়নায় প্রবাসীদের পাশে দাঁড়ানো চেষ্টা করি। এ জন্য কোন প্রাতিষ্ঠাানিক স্বীকৃতি পাবো তেমন আশা কখন করিনি। তারপরও হাইকমিশনের এমন সম্মানে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আমি মনে করি, এতে আরো অনেকে উৎসাহিত হবেন মানবতার সেবা আর প্রাবসীদের কল্যাণে এগিয়ে আসার জন্য। 
মানিকগঞ্জের সন্তান মোহাম্মদ হাফিজ প্রায় ১৩ বছর মরিশাস প্রবাসে আছেন। বর্তমানে তিনি স্টার প্রিন্ট কোম্পানীর অধীনে দেশটির জনপ্রিয় দুটি পত্রিকা ফ্রান্স ভাষার লে এক্সজুর্নাল এবং সানডে টাইমস-এর প্রধান গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত আছেন। পেশার পাশাপাশি তিনি মরদেহ দেশে প্রেরণ, অসুস্থদের চিকিৎসা সহায়তাসহ প্রবাসীদের কর্যাণে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। কাজ করতে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হওয়া অসহায় মোহাম্মদ রব, মনির খান, মোল্লা মনির হোসেন, বাবুল হোসেনসহ মরিশাসপ্রবাসী অনেককে তার উদ্যোগে দেশে পাঠানো হয়।
গত বছর মোহাম্মদ হাফিজের উদ্যোগ ও নেতৃত্বে বিশ্বের ১৪ টি দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে ইয়ং স্টার প্রবাসী কল্যাণ সংঘ। অনলাইনভিত্তিক সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব আছেন তিনি। সংগঠনটির উদ্যোগে অসুস্থ প্রবাসীর চিকিৎসা সহায়তা, মরদেহ দেশে প্রেরণ, নতুন প্রবাসীদের ভাষা শেখার সহযোগিতাসহ নানা ধরণের কল্যাণমূলক কাজের পাশাপাশি দেশের শীর্তাত মানুষকে কম্বল বিতরণসহ নানা ধরণের সেবামূলক কাজ চলছে।
যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!