মাটির নিচে ইরানের ড্রোনঘাঁটি!

বিশ্ব

ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে জাগরোস পর্বতমালা এলাকায় দেশটির বিমানবাহিনীর একটি ভূগর্ভস্থ ড্রোনঘাঁটির ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ওই ভিডিও সম্প্রচার করা হয়। ভিডিওতে ড্রোনঘাঁটির অবস্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। তবে ভিডিও ধারণের সময় সেখানে থাকা প্রতিবেদক বলেন, ইরানের কেরমানশাহ শহর থেকে হেলিকপ্টারে করে ওই ঘাঁটিতে পৌঁছাতে তাঁর প্রায় ৪০ মিনিট সময় লেগেছে।

ভিডিওটিতে দেখা গেছে, মাটির নিচের ওই ঘাঁটি পরিদর্শন করছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি ও সেনাবাহিনীর কমান্ডার আবদোল রহিম মৌসাভি। বলা হচ্ছে, অভিযান চালানোর জন্য ১০০টির বেশি ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) সেখানে রাখা হয়েছে।

ঘাঁটিটিকে ইরানের ‘কৌশলগত ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালানোর জন্য একটি নিরাপদ স্থান’ বলে উল্লেখ করেছেন জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি। তিনি বলেন, ‘আমরা কখনোই কোনো হুমকিকে ছোট করে দেখি না। আমরা কখনোই এটা মনে করি না যে শত্রুরা ঘুমিয়ে আছে। আমরা সব সময় সতর্ক আছি, জেগে আছি।’

Travelion – Mobile

এদিকে ড্রোনঘাঁটিটির অবস্থান মাটির কয়েক শ মিটার নিচে বলে ভিডিওতে জানিয়েছেন ইরানের সেনাবাহিনী কমান্ডার রহিম মৌসাভি। তবে এর বেশি কিছু জানাননি তিনি।

ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের দেওয়া তথ্য বলছে, ঘাঁটিটিতে সক্ষমতার দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ‘কামান-২২’ নামের একটি ড্রোন। সেটি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে। আর কমপক্ষে দুই হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

গত শতকের আশির দশকে প্রতিবেশী ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ইরান। যুদ্ধ চলেছিল দীর্ঘ আট বছর ধরে। ওই সময়েই ড্রোন তৈরি শুরু করে ইরান। এরপর মধ্যপ্রাচ্যে তেহরানপন্থী গোষ্ঠী ও দেশের হাতে ইরানি ড্রোন তুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল।

এ সবকিছুর জেরে গত বছরের অক্টোবরে ইরানের প্রভাবশালী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) ড্রোন কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের একটি জ্বালানি তেল পরিশোধনাগারে ড্রোন হামলার পেছনে হাত রয়েছে আইআরজিসি।

এ ছাড়া ওমানের উপকূলে ২০২১ সালে একটি বাণিজ্যিক জাহাজে ড্রোন হামলার জন্য বাহিনীটিকে দায়ী করা হয়। ওই হামলায় দুই নাবিক নিহত হন। তবে এসব অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে তেহরান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!