মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ : শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে হাসপাতালে তুর্কি নাগরিক
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ থাকায় তুরস্কের এক নাগরিককে রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিমানবন্দরে পরীক্ষায় ৩২ বছর বয়সী ওই তুর্কি নাগরিকের মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ ধরা পড়ে।
বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, আজ দুপুর ২টার দিকে তুর্কি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ওই ব্যক্তি শাহজালালে আসেন।
শাহজালাল বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘ওই যাত্রীর শরীরে র্যাশ ছিল। তবে এটি কোনো ধরনের চর্মরোগ কিনা, ওই যাত্রী সেটি নিশ্চিত করতে পারেননি এবং তিনি এ সম্পর্কিত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। ফলে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে রাখা হয়েছে। সেখানেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। তবে কবে নাগাদ পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে, তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ৪ জুনের হিসাব অনুযায়ী, নতুন করে প্রাদুর্ভাবের পর আফ্রিকার বাইরে মোট ২৭টি দেশে এ পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সের রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। রোগীর সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অনেকটা গুটিবসন্তের মতো হলেও মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ মৃদু। শুরুতে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরব্যথা, ক্লান্তি, অবসাদ ইত্যাদি দেখা দেয়। ফুলে যেতে পারে লসিকা গ্রন্থি। এক থেকে তিন দিনের মধ্যে সারা গায়ে ফুসকুড়ি ওঠে। মুখে শুরু হয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এই ফুসকুড়ি। বসন্তের মতোই প্রথমে লাল, তারপর ভেতরে জলপূর্ণ দানা, শেষে শুকিয়ে পড়ে যেতে থাকে। দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয় এই রোগ। তারপর নিজে নিজেই সেরে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তেমন বড় কোনো জটিলতা হয় না।
ইউকে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস জানায়, মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত বেশির ভাগ রোগীই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠেন। তবে মাঙ্কিপক্স তেমন গুরুতর না হলেও হঠাৎ রোগটির প্রাদুর্ভাব বিজ্ঞানীদের উদ্বিগ্ন করেছে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন। উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা সংক্রমিত ব্যক্তিদের তিন সপ্তাহ সঙ্গনিরোধে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।