মরুভূমিতে আটকা পড়েছে বাংলাদেশিসহ হাজারো অভিবাসনপ্রত্যাশী

আফ্রিকার নাইজারে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল নেমেছে। ইউরোপ যাওয়ার জন্য নিজের দেশ ছেড়ে তাঁরা নাইজারের তপ্ত মরুভূমিতে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা একটু শক্তসামর্থ্য, তাঁরা এগিয়ে যাচ্ছেন আর দুর্বলেরা পিছিয়ে পড়ছেন। আলজেরিয়া থেকে বের করে দেওয়া শত শত অভিবাসী নাইজারের সীমান্তবর্তী এলাকা আসামাকায় জড়ো হন।

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

এখন পর্যন্ত সাড়ে চার হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী দেশটির সীমান্ত এলাকায় ভিড় করেছেন। তাঁদের মধ্যে মালি, আইভরি কোস্ট, সিরিয়া এবং বাংলাদেশি নাগরিক আছেন।

Travelion – Mobile

ইউরোপে যাওয়ার আশায় এসব মানুষ ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মরুভূমি পাড়ি দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত ট্রানজিট সেন্টার বিপুলসংখ্যক মানুষকে সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। তাঁদের মধ্যে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আশ্রয় দিতে পারছে তারা।

মানুষের চাপে আসামাকার পানির ট্যাংক শেষ হয়ে যাওয়ার পথে। খাদ্যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মরুভূমির তীব্র গরম থেকে বাঁচার জন্য পর্যাপ্ত আশ্রয়শিবিরও নেই। ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে হাজার হাজার অভিবাসানপ্রত্যাশী দেয়াল ও ত্রিপলের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন।

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দাবি, ইউরোপ যাত্রার আশায় আলজেরিয়া থেকে বের করে দেওয়ার আগে তাঁদের সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কপর্দকহীন এসব মানুষের হাতে বাড়ি ফেরার মতো অর্থ নেই। এমনকি স্বজনদের ফোন করবেন, এমন সামর্থ্যও নেই তাঁদের। ফলে মরুভূমির মধ্যে উন্মুক্ত কারাগারের মধ্যে মাসের পর মাস কাটাতে হচ্ছে।

আইভরি কোস্টের নাগরিক আবদুল করিম বামবারা বলেন, ‘এখানে পৌঁছার পর আমাদের বলা হলো যে আমরা আইওএম স্বীকৃত অভিবাসী না। তাই বাড়ি ফিরতে হলে আমাদের টাকা দিতে হবে।’

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!