মরিশাসে বৃক্ষরোপনে স্মরণ, জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণের বার্ষিকী
মরিশাসের একটি জাতীয় পার্কে ৪৭ টি গাছের চারা রোপনের মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হল বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ঐতিহাসিক বাংলায় ভাষণ প্রদানের ৪৭ তম বার্ষিকী।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানী পোর্ট লুইসের প্লেন-ভিয়ার পার্কে বাংলাদেশ বাংলাদেশ হাইকমিশন, আয়োজিত কর্মসূচিতে মরিশাসের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হসনু প্রধান অতিথি এবং পরিবেশ মন্ত্রী কাভিদাশ রামানো বিশেষ অতিথি ছিলেন।
একটি গাছের রোপন করে উপ প্রধান মন্ত্রী কর্মসূচীর সূচনা করেন। এরপর পরিবেশ মন্ত্রী কাভিদাশ রামানো, সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট আব্দুর রউফ বন্ধন, ডেপুটি স্পিকার মোহাম্মদ জাহিদ নজরালি, সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সেলিম আব্বাস মামুদি ও মোহাম্মদ এহসান জুমন, মোহাম্মদ মাহফুজ মুসা কাদের সাইদ, পোর্ট লুইসের লর্ড মেয়র, মরিশাসে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ, ভারত, মাদাগাস্কার ও মিশর দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতরা, পাকিস্তন, দক্ষিণ আফ্রিকা মিশনের চাজ দ্য এফেয়ার্স, বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তা, মরিশাসের সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ কমিউনিটি সংগঠকরা একটি করে গাছের চারা রোপন করেন।
অনুষ্ঠানে মরিশাসের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হসনু বলেন যে, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মতো মহান ব্যক্তির স্মরনে এ ধরনের মহৎ কর্ম অত্যন্ত প্রশংসার দাবি রাখে। সেই সাথে পৃথিবীর পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষায় এ ধরনের কর্মসূচী বিশেষ অবদান রাখবে।
পরিবেশ মন্ত্রী কাভিদাশ রামানো, জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণের ৪৭তম বার্ষিকীতে বৃক্ষরোপনের মত অভিনব কর্মসূচী আয়োজন করায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন যে, এই চারাগাছ গুলো একদিন বৃক্ষে পরিণত হওয়ার মাধ্যমে পার্কের পরিবেশ আরো মনোরম করে তুলবে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন মরিশাস কপ-২৬ এ যোগদানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এ সম্মেলনের ফলাফলের জন্য গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ স্বাগত বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি সংক্ষেপে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং বলেন , অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রীও একই সময়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের বর্তমান সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ পরিবেশ রক্ষায় সদস্য দেশগুলোর সাথে জলবায়ু পরিবর্তের বিরূপ প্রতিক্রিয়া নিরসনে এবং মানিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করছে।
হাইকমিশনার আশা প্রকাশ করেন যে, এ সকল বৃক্ষরাজি পরিবেশ সংরক্ষণে সাহায্য করবে।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ প্রদানের বাঁধাইকৃত ছবি স্মারক হিসেবে উপহার দেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার ।