মরিশাসে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ পুরস্কার প্রাপ্তির বার্ষিকী উদযাপন

বাংলাদেশ হাইকমিশনের গোলটেবিল আলোচনা

মরিশাসে বিদেশি আলোচক-গবেষকদের নিয়ে গোলটেবিল আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির ৪৮ তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। করোনা পরিস্থিতির বিধি নিষেধে অনুযায়ী ১০ জনের বেশি লোকের সমাগম না করার বাধ্যবাধকতায় সীমিত পরিসরে এই আয়োজন করা হয়।

রবিবার (২৩মে) রাজধানী পোর্ট লুইসে বাংলাদেশ হাইকমিশনে আয়োজিত আলোচনার সভাপতিত্বে করেন মরিশাসে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ।

আলোচনায় মরিশাসের গ্রিনউেইচ ইউনিভার্সিটির লেকচারার মাথিয়াস আনইউ ওকোরি বলেন, বাঙালী জাতীয়তাবাদের শুরুটা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে তিনি এগিয়ে নিয়ে যান, দেশকে স্বাধীন করেন। আজকের এই প্রজন্ম তাঁর আদর্শবাদকে পুঁজি করে সমন্বিত এবং বুদ্ধিদীপ্ত জাতিতে পরিণত হতে পারে। বাঙালীদের মতো বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার এই মহান নেতা নিয়ে আমরাও গর্ববোধ করি।

Travelion – Mobile

মরিশাসের গায়াসিং আশ্রমের পরিচালক রাজনারায়ণ গাট্রা বলেন, ভারত, পাকিস্তান ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হলেও বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের শুরু থেকে ভাষা, সংস্কৃতি ও মানুষের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেছেন।

গবেষণার আলোকে তিনি আর বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষমতা চাননি, অর্থ চাননি, তিনি চেয়েছেন মানুষের অধিকার আদায় করতে। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানের জন্য সর্ব প্রথম কোন বাঙ্গালী আন্তর্জাতিক পুরস্কার হিসেবে এ পদক গ্রহণ করেন।

ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক রহিম মর্তুজা বলেন যে, বাংলাদেশ সারা বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। যার শুরুটা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ বলেন,”জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর প্রায় সাড়ে চার বছরের শাসনামলে দেশ গঠন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে জোড়ালো ভূমিকা রাখেন। সম্ভবত বিশ্বের খুব অল্প সংখ্যক নেতাই এত অল্প সময়ের মধ্যে জুলিও কুরি পদকসহ আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেয়েছেন। যার জন্য বাঙ্গালী জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত।”

গোলটেবিল আলোচনার আগে হাইকমিশনার সকলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তি উপর বাংলাদেশ টেলিভিশন নির্মিত বিশেষ প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রামান্য চিত্র বাংলা ভাষা আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিদেরকে ইংরেজিতে অনুবাদের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন হাইকমিশনার।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!