ভিয়েতনামে কোমা থেকে জাগলেন করোনাক্রান্ত ব্রিটিশ পাইলট

ভিয়েতনামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজন ব্রিটিশ পাইলট কোমায় থাকা অবস্থা থেকে জেগে উঠেছেন। তবে তার জীবন বাঁচাতে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের (ট্রান্সপ্ল্যান্ট) প্রয়োজন হবে বলে জানা গেছে।

ভিয়েতনাম এয়ারলাইন্সের ৪৩ বছর বয়সী এই পাইলট করোনায় আক্রান্ত হয়ে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তিনি। তাকে ভিয়েতনামে করোনাভাইরাস সবচেয়ে গুরুতর রোগী হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে। ভিয়েতনামে এখনো পর্যন্ত করোনাভাইরাসে কেউ মারা যায়নি।

দি গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই পাইলটকে ১৮ মার্চ হো চি মিন সিটির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ২ মে চিকিত্সকরা তাকে করোনাভাইরাস মুক্ত বলে ঘোষণা করেছিলেন। তবে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ফুসফুসসহ অন্য অঙ্গপ্রতঙ্গে গুরুতর জটিলতা রয়েছে বলে জানান তারা।

Travelion – Mobile

পত্রিকাটির খবর অনুসারে, ২২ মে এই পাইলটকে রাজধানীর চৌ রায় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তিনি নিবিড় পরিচর্যায় ছিলেন।

তবে চেতনানাশকের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার পরে তিনি কোমা থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। এরপর তিনি ডাক্তারদরে সঙ্গে ‘প্রাথমিক যোগাযোগ’ করতে সক্ষম হন।

চো রায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের উপ-প্রধান ত্রান থানহ লিনহ স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, লোকটি আঙুল এবং পায়ের আঙুল নাড়িয়ে অঙ্গভঙ্গি করতে পেরেছে, তবে তার শ্বাসকষ্ট এবং শারীরিক দুর্বলতা রয়ে গেছে।

গত সপ্তাহে একটি ‘স্ক্যান’-এ তার ফুসফুসের ক্ষমতার উন্নতি দেখা গেছে। তবে ফুসফুস প্রতিস্থাপন ‘ফুসফুসের ক্ষমতার উন্নতি না হ্ওয়া পর্যন্ত জীবন বাঁচানোর একমাত্র সমাধান বলে মনে করা হচ্ছে।’

ডা. থানহ লিনহ আরও জানান যে, এই সপ্তাহের শেষের দিকে, ডাক্তাররা তাকে ধীরে ধীরে ইসিএমও ছাড়িয়ে দেবেন। এছাড়া চিকিত্সা পুরোপুরি বন্ধ করে দেবেন কিনা সে বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে। তার ফুসফুস বর্তমানে প্রায় ২০-৩০% এ কাজ করছে, কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে এটি ১০% বেড়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!