ভিআইপি প্রতারক সাহেদ করিম গ্রেফতার!
অবশেষে বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিম র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র্যাব) হাতে ধরা পড়লেন।
আজ বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এএসপি) সুজয় সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, বুধবার (১৫ জুলাই) ভোরে ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকায় র্যাবের বিশেষ অভিযানে অবৈধ অস্ত্রসহ বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে গ্রেফতার করে র্যাব। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বিকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সরকারের সঙ্গে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাস শনাক্তের নমুনা সংগ্রহ করা এবং ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগ গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় র্যাব বাদী হয়ে মো. সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করে। সেই মামলায় ৮ দিন পলাতক থাকার পর গ্রেফতার হলেন সাহেদ করিম।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রিজেন্ট কেলেঙ্কারি সামনে আসার পর থেকেই করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়াসহ নানা ভয়াবহ প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত মহাপ্রতারক সাহেদ আত্মগোপনে চলে যান। তিনি সীমান্ত এলাকা হয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
পরদিন গত ৭ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের মূল কার্যালয় এবং রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরের দ ‘টি হাসপাতাল সিলগালা করে দেওয়া হয়। হাসপাতালটি প্রতারণা করে ১০ হাজারেরও বেশি করোনা পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়েছে।