ব্রুনাইয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের ওয়েবিনার

ওয়েবিনারের (ভার্চুয়াল আলোচনা সভা) মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছে ব্রুনাই বঙ্গবন্ধু পরিষদ। “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, আমাদের অর্জন ও প্রবাসীদের ভূমিকা” শীর্ষক ভার্চূয়াল আলোচনায় মূল আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদের স্থায়ী কমিটির বর্তমান সভাপতি তোফায়েল আহমেদ।

ব্রুনাই বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মোস্তফা রেজা আলির সভাপতিত্বে আলোচনায় সম্মানিত আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডা. এস এ মালেক, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন ও ব্রুনাই বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা ড. নুর রহমান।

ইউনিভার্সিটি ব্রুনাই দারুসসালামের সিনিয়র সহকারি অধ্যাপক ড. শাফি নুর ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ব্রুনাই বঙ্গবন্ধু পরিষদ উপদেষ্টা ডা. এ বি এম কামরুল হাসান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মালয়েশিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদ সভাপতি ডা. এ টি এম ইমদাদুল হক, অস্ট্রেলিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদ সভাপতি কৃষিবিদ আব্দুল জলিল ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নির্মাল্য তালুকদার, প্রবাসী সাংবাদিক আব্দুল্লাহ মামুন।

Travelion – Mobile

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ব্রুনাইপ্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তান বাংলার মানুষের জন্য তৈরী হয়নি। তাই তিনি ধাপে ধাপে বিভিন্ন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে চূড়ান্ত বিজয় এনে দিয়েছেন এবং জীবনের মূল্যবান ১৩ টি বছর কারাগারের প্রকোষ্টে কাটিয়েছেন, দুবার ফাঁসির মঞ্চের মুখোমুখি হয়েছিলেন।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না, ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ৭ কোটি মানুষকে একত্রিত করেছিলেন এবং এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি নিরস্ত্র বাঙালিকে স্বশস্ত্র বাহিনীতে পরিণত করতে পেরেছিলেন। এই বক্তৃতাই ছিল আমাদের সংগ্রামের প্রেরণা।

সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের ভূয়সী প্রসংশা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল কিন্তু স্বাধীনতার পরে সবাই ভেবেছিল বাংলাদেশ হবে তলাবিহীন ঝুঁড়ি, কিন্তু তা হয়নি মাত্র ৫০ বছরে নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গ্রামগুলো দেখলে এখন আর গ্রাম মনে হয় না, প্রত্যেকটি গ্রামে শহরের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে, এটি সম্ভব হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের কারণেই।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এ মালেক বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবদান অনস্বীকার্য, বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন ধাপ থেকে শুরু করে ছাত্রজীবনে আন্দোলন সংগ্রামের সাথে জড়িত ছিলেন। কিন্তু শেখ মুজিবের মতো জিয়াউর রহমান কিংবা তার দল বিএনপি দেশ স্বাধীনের কোনও আন্দোলনে তাদের সম্পৃক্ততা নেই। স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য জিয়াউর রহমানের কোন আইনগত বা রাজনৈতিক অধিকারও ছিল না। সুতরাং বিএনপি এসেছে বানোয়াট গল্প বলে।

ডা. এস এ মালেক বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ‘বাকশাল’ সম্পর্কে বিশদ ব্যাখ্যা করে বলেন, বাংলার কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী মানুষের মুকিতির লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধু বাকশাল কায়েম করেছিলেন। অথচ বাকশাল কর্মসূচি পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের আগেই তাকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যা করা হলো। বাকশালের ঠিকমত বাস্তবায়নই হলো না, অথচ বিরোধীরা এই কর্মসূচি নিয়ে কতরকমের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছিলো। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ গড়ার সংগ্রামে দেশে-বিদেশে সবাইকে গঠনমূলক ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানান।

অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার বক্তব্যে বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ফলে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। এর পাশাপাশি এখন ‘নলেজ রেমিট্যান্সের’ দিকে সরকারের মনোযোগী হতে হবে। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি জ্ঞান-বিজ্ঞানেও দেশকে উন্নত হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!