ব্রুনাইয়ে অভিবাসী দিবসে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মুক্ত আলোচনা
শ্রমবঞ্চনা, শ্রমশোষণ, মানবপাচার বন্ধ করতে হলে প্রতিটি ভিসার বিপরীতে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে হবে এবং নিবন্ধিত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে শ্রম অভিবাসন নিশ্চিত করতে হবে, যাতে প্রত্যেক অভিবাসী শ্রমিক বিদেশের মাটিতে প্রতিশ্রুত চাকুরি, বেতন এবং আবাসন ও বিমা সুবিধা পায়। কোন নিয়োগকারী কোম্পানি কোন অভিবাসী কর্মীর অধিকার লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় প্রতিকার বিধান করতে হবে।
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে ব্রুনাইস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত মুক্ত আলোচনায় প্রশ্নোত্তর পর্বে শীর্ষ কূটনৈতিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এই বক্তব্য ওঠে আসে।
দেশটির রাজধানী বন্দর সেরি বেগাওয়ানের অদূরে জেরুডং এলাকার রয়্যাল বার্কশায়ারের কান্ট্রি ক্লাবে ব্রুনাই দারুস্সালামে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনার সভাপতিত্বে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন কূটনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ককর্পোরেট কোম্পানির কর্মকর্তা, ব্রুনাই সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির ব্যক্তিত্বরা। অস্ট্রেলিয়া, ইরান, পাকিস্তান, লাওস, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ওমানের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স আলোচনায় অংশ নেন।
হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা বলেন, বিদেশীগামী প্রতিটি বাংলাদেশি কর্মীকে উপযুর্ক্ত দক্ষতা নিয়ে বিদেশে গমন করতে হবে, অন্যথায় ”মুজিববর্ষের আহ্বান, দক্ষ হয়ে বিদেশ যান” স্লোগানের সুফল পাওয়া যাবে না।
হাইকমিশনের শ্রমকল্যাণ উইং-এর প্রথমসচিব জিলাল হোসেন দিবসের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে বলেন, অভিবাসন প্রক্রিয়ায় সুশাসনের অভাব থাকলে শ্রমশোষণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, মানবপাচারের মত অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সুযোগ থাকে। নিরাপদ ও নৈতিক অভিবাসন নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় আইন থাকাই যথেষ্ট নয়; বরং প্রয়োজন আইনের নৈব্যক্তিক ও সময়োচিত প্রয়োগ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে হাই কমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা ব্রুনাই থেকে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রেরণকারী শীর্ষ ব্রুনাইয়ের ৮ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে সম্মাননা স্মারক এবং প্রশংসাপত্র তুলে দেন। তারা হলেন মোহাম্মদ লিয়াকত আলী, মোম্মাদ বোরহান উদ্দিন হায়দার, একেএম জসিম উদ্দিন, মো. কাজী জসিম উদ্দিন, মো. আশরাফ আলি, মো. শাহজালাল মাসুদ, মোহাম্মদ দুলাল হোসেনের হাতে
প্রবাসীদের স্বার্থসুরক্ষায় অভিবাসন দিবসে এ ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহের জন্ম দিয়েছে। ব্রুনাইতে প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছেন।