ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
ব্রুনাইয়ে যথাযথ মর্যাদায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাজধানী বন্দর সেরি বেগাওয়ান হাইকমিশন প্রাঙ্গনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের সূচনা করেন ব্রুনাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা। এরপরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন, বিশেষ দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এরপর হাইকমিশনের হলরুমে আয়োজিত দিবসের আলোচনা সভার শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করেন শোনান হাইকমিশনার এবং কর্মকর্তারা। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রর্দশন করা হয়।
হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা তার বক্তব্যের শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। সেই সঙ্গে তিনি বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ, সম্ভম হারানো দুই লক্ষ মা বোন, জাতীয় চার নেতাকে এবং শ্রদ্ধা জানান সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি।
তিনি দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রাম ও তৎপরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর অনন্য নেতৃত্ব ও অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সক্রিয় নির্দেশনায় লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা, একটি গর্বিত ও প্রত্যয়ী জাতি হিসেবে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণার প্রধান উৎস।
হাইকমিশনার আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বৈশিক পরিমণ্ডলে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুজিববর্ষে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা অর্জনের পথে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতারা ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত বাঙালি জাতির জীবনে ঘটে যাওয়া নির্যাতন–নিপীড়নের মধ্যে থেকে একটা জাতিকে স্বাধীনতাযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করতে জাতির জনকের নেতৃত্বের দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা স্মরণ করেন। তারা বলেন, সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করেছেন, যে চেতনায় উজ্জীবিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছে।