ব্রুনাইতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ উদযাপন
ব্রুনাইতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস’ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাস প্রধানগণ এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দসহ ব্রুনাইস্থ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।
রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় রাজধানী বন্দর সেরি বেগাওয়ান হাইকমিশন চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে কর্মসূচির সূচনা করেন ব্রুনাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা।
এরপর হাইকমিশনার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় দূতালয় প্রধান ও প্রথম সচিব (শ্রম) জিলাল হোসেন এবং কাউন্সেলর মাঈনুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এই উপলক্ষে দূতাবাসের সভাকক্ষে আয়োজিত দিবসের আলোচনা শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত ও দোয়ার পরে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস’ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র দেখানো হয়।
আলোচনায় হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা ১৯৭১ সালে আজকের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ৭ মার্চ এক অনন্য ও উজ্জ্বল দিন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালি জাতির মুক্তির কান্ডারী ও রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতার জন্য উন্মুখ বাংলাদেশের লাখো জনতাকে শুনিয়েছিলেন মুক্তির বাণী, প্রদান করেছিলেন মুক্তি সংগ্রামের সুস্পস্ট নির্দেশনা।
তিনি আরও বলেন, এই ঐতিহাসিক ভাষণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মুক্তিপাগল জনতা দেশ স্বাধীনের প্রস্তুতি নিয়েছিল এবং দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিল।
পরে হাইকমিশনারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওয়েবিনার প্রধান আলোচক ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন এবিএম তাজুল ইসলাম এবং বিশেষ আলোচক ছিলেন এশিয়াটিক সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহফুজা খানম।