ব্রিটিশ বাংলাদেশি ফারহানা ২২ বছরেই ব্যারিস্টার

সর্বকনিষ্ঠ ব্রিটিশ বাংলাদেশি হিসেবে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করলেন ফারহানা আহমদ। গত ২৪ নভেম্বর মাত্র ২২ বছর বয়সে বিশ্বখ্যাত অনারেবল সোসাইটি অব লিংকন্স ইন্ থেকে ব্যারিস্টার হন তিনি । বার-এট-ল করার পাশাপাশি মাস্টার অব লজ (এলএলএম) এ অত্যন্ত কৃতিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করেন ফারহানা।

তার স্বপ্ন ব্রিটেনের হাইকোর্টে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিসেবে প্রধান বিচারপতি হিসেবে কাজ করার।

ছোটবেলা থেকে প্রখর মেধাবী ফারহানা আহমদ গত বছর বিশ্বখ্যাত লন্ডন ইউনিভার্সিটির স্বনামধন্য দ্য সিটি ল স্কুল থেকে এলএলবিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিলেন। ফারহানা প্রথম হওয়ার সঙ্গে কয়েকটি সাবজেক্টে তিনি তার ইউনিভার্সিটির ল ডিপার্টমেন্টের অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে সর্বোচ্চ মার্কস পেয়েছিল।

Travelion – Mobile

শিক্ষা জীবনে কোনো একটি বছর বা সেশন গ্যাপ না দিয়েই এলএলএম এবং বার-এট-ল’তে অসামান্য ফলাফল করেছেন ব্যারিস্টার ফারহানা আহমদ। এলএলএম-এর ডিসার্টেশন তথা থিসিসে-এ ফারহানা পেয়েছেন ৭৫ শতাংশ মার্কস। বার-এট-ল’র ক্রিমিলাল লিটিগেশনে পেয়েছেন ৭৫ শতাংশ মার্কস এবং জুডিসিয়াল রিভিউ মডিউলে পেয়েছেন ৭৭ শতাংশ মার্কস। এছাড়া ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন ৫ হাজার পাউন্ড স্কলারশিপ নিয়ে।

লন্ডনে জন্ম নেওয়া ব্যারিস্টার ফারহানা আহমদের পৈত্রিক নিবাস বাংলাদেশের সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বাহাড়া দুবাগ গ্রামে। তিনি বিলেতের প্রতিথযশা আইনজীবী, প্যাকটিসিং ব্যারিস্টার, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ও নিউহ্যাম কাউন্সিলের সাবেক কাউন্সিলর এবং টানা তিন টার্মের ডেপুটি স্পিকার ব্যারিস্টার নাজির আহমদ ও কবি সালমা আহমদের দ্বিতীয় সন্তান।

২৩ বছর আগে ১৯৯৯ সালে ব্যারিস্টার ফারহানা আহমদের পিতা ব্যারিস্টার নাজির আহমদও বার-এট-ল’র ফলাফলে শীর্ষস্থান লাভ করে অনারেবল সোসাইটি অব লিংকন্স ইন্ থেকে ব্যারিস্টার হয়েছিলেন।

পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে ব্যারিস্টার ফারহানা আহমদ দ্বিতীয়। তার বড় বোন তাসনিয়া আহমদ গত বছর ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টমিনস্টর থেকে সেকেন্ড ক্লাস ফার্স্ট ডিভিশন পেয়ে এলএলবি (অনার্স) ডিগ্রী লাভ করে শিক্ষকতা পেশায় যাচ্ছেন। তার ছোট বোন তাহমিনা আহমদ লন্ডন ইউনিভার্সিটির কুইন মেরীতে বিএসসি (অনার্স) ম্যানেজমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

ফারহানার ছোট ভাই এহসান আহমদ এ বছর জিসিএসই’তে অসাধারণ ফলাফল করে এখন দেশ সেরা সিক্সথ ফর্ম ব্রাম্পটন ম্যানর একাডেমিতে এ লেভেলে পড়াশোনা করছে। তার আরেক ছোট ভাই হাসান মুর্শেদ আহমদও ব্রাম্পটন ম্যানর একাডেমিতে ইয়ার সেভেনের ছাত্র।

এই অসাধারণ সাফল্য লাভের প্রাক্কালে এক প্রতিক্রিয়ায় ব্যারিস্টার ফারহানা আহমদ বলেন, প্রথমেই শ্রদ্ধাবনত চিত্তে শুকরিয়া জানাচ্ছি মহান আল্লাহ পাকের প্রতি। এরপর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতা ও শিক্ষক মন্ডলীর প্রতি যাদের সাপোর্ট, সহায়তা ও গাইডেন্স আমাকে এ পর্যন্ত আসতে সহযোগিতা করেছে। আমি আলোকিত সমাজ ও কমিউনিটি বিনির্মাণে, আইনের শাষণ প্রতিষ্ঠায় ও সুবিচার নিশ্চিতকরণে ভূমিকা রাখতে চাই।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!