বৈরুত বিস্ফোরণের নেপথ্যে রাশিয়ান ব্যবসায়ীর পরিত্যক্ত রাসায়নিক!

লেবাননের বৈরুত বিস্ফোরণে নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যে রাসায়নিক থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে গত সাত বছর ধরেই সেই ভয়াবহ বিস্ফোরক মজুদ ছিল বন্দরের গুদামে। শুল্ক কর্মকর্তারা বারবার প্রশাসনের শীর্ষ মহলের কাছে বিস্ফোরক সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছিলেন। কিন্তু সরকার সেই সতর্ক বার্তায় কান দেয়নি।

নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, বৈরুত বন্দরের ১২ নম্বর গুদামে খোলামেলা ফেলে রাখা বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে। বাতুমি থেকে রাসায়নিকবাহী একটি জাহাজ আটক করা হয়। রাশিয়ার ব্যবসায়ী ইগর গ্রেচুশকিন ওই জাহাজে দুই হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট জর্জিয়া থেকে মোজাম্বিকে পাঠাচ্ছিলেন। প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখাতে না পারার জন্য লেবানন কর্তৃপক্ষ জাহাজটিকে বাজেয়াপ্ত করে। তবে রাসায়নিকের নিরাপত্তার জন্য নাবিকদের জাহাজে থাকতে বাধ্য করে। পরে নাবিকরা অনশন ধর্মঘট শুরু করলে তাদেরকে জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

লেবানন কর্তৃপক্ষকে নাবিকরা ওই সময় জানান, মোটরবাইক ভক্ত গ্রেচুশকিন দেউলিয়া হয়ে গেছেন এবং তিনি জাহাজটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে গেছেন।

Travelion – Mobile

বৈরুত বিস্ফোরণ : আপডেট

বৈরুত বিস্ফোরণ : আপডেটজানাচ্ছেন : বাবু সাহা, প্রবাসী সাংবাদিক, লেবানন৫ আগস্ট, বুধবার : লেবানন : সন্ধ্যা ৭.৪৫ টা , বাংলাদেশ :রাত ১০.৪৫ টা

Posted by AkashJatra on Wednesday, August 5, 2020

কিছুদিন বাদে জাহাজ থেকে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মতো মারাত্মক বিস্ফোরক বন্দরের ১২ নম্বর গুদামে নামিয়ে রাখা হয়। এর কয়েক মাস পরে ২০১৪ সালের ২৭ জুন কার্গো সমস্যার সমাধান চেয়ে চিঠি পাঠান তৎকালীন লেবানিজ শুল্ক দফতরের পরিচালক শফিক মেরহি। পরের তিন বছরে আরো পাঁচবার চিঠি পাঠিয়েছেন শুল্ক কর্মকর্তারা। চিঠিতে শুল্ক কর্মকর্তারা বাজেয়াপ্ত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য তিনটি পথও বাতলে দিয়েছিলেন। প্রথমত, বাজেয়াপ্ত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট রপ্তানি করা। দ্বিতীয়ত, দেশের সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা। অথবা দেশের বেসরকারি বিস্ফোরক দ্রব্য উ‍ৎপাদনকারী সংস্থাগুলোর কাছে বিক্রি করা। কিন্তু কোনও জবাব আসেনি।

এক বছর বাদে শুল্ক দফতরের নতুন পরিচালক বাদ্রি দাহির ২০১৭ সালে উপর মহলে এক চিঠি পাঠিয়ে কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। গত সাত বছর ধরে বিপজ্জনক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বন্দরের ওই গুদামেই অরক্ষিত অবস্থায় রাখা ছিল। যার সবশেষ ফলাফল ধ্বংসপ্রায় রাজধানী বৈরুত। প্রাণ গেছে শতাধিক মানুষের। আহত ৫ হাজারেরও বেশি। গৃহহারা ৩ লাখ মানুষ।

আগের খবর :
বৈরুত বিস্ফোরণ : বেশ কিছু বন্দর কর্মকর্তা গৃহবন্দী!
লেবাননে চিকিৎসক ও খাদ্যসামগ্রী পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ
বৈরুত বিস্ফোরণ : নিহত চার বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত, আহত ৯৯

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!